সংবাদ সম্মেলনে যশোর জেলা আ.লীগের সভাপতি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হলেও দলে নেওয়া হবে না

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা পাস করলেও তাদের দলে কখনো ফেরত নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ইসলাম মিলন। গতকাল সোমবার প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, যারা দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুম রেজা খানের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে পাশাপাশি বিএনপি ভোটে না থাকার কারণে দলে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এসব বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিবৃত্ত করতে ইতোমধ্যে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শার্শার বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বাঘারপাড়া ও মনিরামপুর উপজেলার যারা দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ভোট করছে সেসব প্রার্থীদেরও আজকালের মধ্যে বহিষ্কার করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা মনোনয়ন পাচ্ছে তা সবই কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত, সেখানে তৃণমূলের সুপারিশ এ এ জাতীয় বিষয় নেই।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দেন বন্দবিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের বিদ্্েরাহী প্রার্থী মাসুম রেজা খান। এসময় তিনি উল্লেখ করেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদে স্বতন্ত্র পার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন। এটি দলের বিরুদ্ধে নয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তারমতে, ওই ইউনিয়নে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তিনি বিএনপি থেকে যাওয়া। আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে তিনি সেটি মেনে নিতে পারেননি। তারপরও দলের সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।
বিএনপি পরিবারের থেকে যাওয়া কোনো ব্যক্তি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেলে সেটা পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের বঞ্চিত করা হয় কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, কেউ বিএনপি থেকে তাদের দলে আসতে পারবে না এমন কোনো বিধান নেই। অনেকেই বিএনপি থেকে এসে দলের বিভিন্ন পদ পদবী পেয়েছেন।