পাইকগাছা (খুলনা) সংবাদদাতা ॥ পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার সমন্বয়হীনতার অভাবে পাবলিক লাইব্রেরি ও যাদুঘরের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। পাইকগাছা পাবলিক লাইব্রেরি ও যাদুঘর ১৯৮৫ সালে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. স. ম. বাবর আলী প্রতিষ্ঠা করেন। যার আজীবন সদস্য ১৪৬ ও সাধারণ সদস্য ৯৩৮ জন। ২শ বই নিয়ে যাত্রা শুরু হয় লাইব্রেরির। পরবর্তীতে বইয়ের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার। বর্তমান অনেক বই হারিয়ে গেছে। ১৫টি আলমারি, ২০খানা কাঠের চেয়ার, ৪টি টেবিল থাকলেও সবই প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী। লাইব্রেরি ভবনটির অবস্থা খুই করুন। অনেক অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২-৩শ পাঠকের আনাগোনা থাকলেও বর্তমান তা পাঠকশূন্য হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যে ২/১ জন পাঠক অতি প্রয়োজনে যায় বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের বলেন, ১৯৯৯ সালে পৌরসভা অলিখিতভাবে লাইব্রেরি ও যাদুঘর দেখাশুনার দায়িত্ব পায়। উপজেলা পরিষদ লিখিতভাবে হস্তান্তর না করায় অবকাঠামো কোন পরিবর্তন করা বা যাদুঘরের স্মৃতি নিদর্শন রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. স. ম. বাবর আলী বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এটা প্রতিষ্ঠা করা হয়। যে উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল আজ তা ধ্বংসের দারপ্রান্তে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, তিনি এ উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছেন। বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে কিভাবে এর উন্নতি করা যায় সে ব্যাপারে তিনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।