শরণখোলায় ফেরির টোল ঘর ভেঙে দিলো জনতা

0

শরণখোলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা॥ বাগেরহাটের শরণখোলার রায়েন্দা-বড়মাছুয়া ফেরিঘাটের ইজারা আদায়ের টোল ঘর ভেঙে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ইচ্ছেমাফিক টোল আদায় করাকে কেন্দ্র করে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। শরণখোলা ও মঠবাড়িয়ার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, যথেচ্ছ টোল আদায় করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে গতকাল শনিবার দুপুরে এলাকাবাসী রায়েন্দা পাড়ে বিক্ষোভ মিছিল এবং বড়মাছুয়া পাড়ে মানববন্ধন করেন। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটের শরণখোলা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মধ্যবর্তী ৩ কিলোমিটার চওড়া বলেশ্বর নদ খেয়া নৌকায় পারাপারে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গত ১০ নভেম্বর থেকে বলেশ্বর নদে ফেরি চালু হয়। ফেরি চালু হওয়ায় উপকুলীয় বরগুনা, পাথরঘাটা, মঠবাড়িয়া, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়ে যায়। কিন্তু খেয়াঘাট ইজারাদার লোকসান পুষিয়ে নিতে শুক্রবার থেকে ফেরিঘাটে টোল আদায় শুরু করে। ঘাটে টোল ঘর নির্মাণ করে বেড়া দিয়ে গেট বানিয়ে টোল আদায় করায় মানুষের মধ্য চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদে রায়েন্দা ঘাটপাড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। একপর্যায় বেড়া ও টোলঘর ভেঙে দেয় তারা। মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া ইউপি সদস্য কাইয়ুম হোসেন, স্কুল শিক্ষক আলী হায়দার সোহেল, শরণখোলা উপজেলা তাঁতিলীগের নেতা শাহিন হােসেন, তাইজুল ইসলাম মিরাজ বলেন, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে খেয়াঘাটের ইজারা নিয়ে সড়ক বিভাগের ফেরিঘাটে টোল আদায়ে জনসাধারনের সাথে চরম অন্যায় করা হচ্ছে। শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, এ ঘটনায় সরকার ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত বলেন, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়েছে। জানতে চাইলে রায়দা-বড়মাছুয়া খেয়াঘাটের ইজারাদার সালাম হাওলাদার বলেন, পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকায় খেয়ার ইজারা নেওয়া হয়েছে, কিন্ত ফেরি চালু হওয়ায় লোকসান হয়। ইজারার টাকা ফেরত চেয়ে খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করলে তার নির্দেশনা অনুযায়ী টোল আদায় শুরু করা হয়।