চৌগাছায় মুগ ও মাস কলাইয়ের ফলন ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষক

0

এম এ রহিম, চৌগাছা (যশোর)॥ যশোরের চৌগাছার কৃষকরা এবার মুগ ও মাসকলাই চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। ফলন ও দাম ভালো পেয়ে দারুণ খুশি তারা। অতিবৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় বারবার ধান-পাট নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা মাসকলাই ও মুগডালের পাশাপাশি সাথীফসল চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে উৎপাদিত মুগ-মাস কলাইয়ের ন্যায্য দাম পাওয়ায় কৃষকরা চলতি মৌসুমে ব্যাপকভাবে কলাইয়ের আবাদ করেছেন। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় বারী-৪ ও ৬ জাতের মুগ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১শ ১০ হেক্টর, চাষ হয়েছে ২শ ৪০ হেক্টর। বারী-৩ ও স্থানীয় জাতের মাসকলাই চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১শ ৫০ হেক্টর চাষ হয়েছে ৩ শ ৫৫ হেক্টর জমিতে। এ বছর ১৩ মেট্রিকটন ডাল উৎপাদনের মাধ্যমে এখানকার কৃষকরা অর্ধ কোটি টাকা উপার্জন করবেন বলেও আশা করেন কৃষি বিভাগ। উপজেলার হাজরাখানা, পেটভরা, নারায়নপুর, পাতিবিলা, দেবীপুর, হাকিমপুর, বেলেমাঠ, চাদপাড়া, সুখপুকুরিয়া, সাঞ্চাডাঙ্গা, দেবালয়, খড়িঞ্চা এলাকায় ডালচাষ ভাল হয়। উপজেলার খড়িঞ্চা গ্রামের মুগচাষি আলাউদ্দীন, দুলালপুর গ্রামের মুগচাষি আবুল বাশার ও দূর্গাপুর গ্রামের মুগচাষি আলামিন, সুলতান ও যাত্রাপুর গ্রামের মাস কলাই চাষি ইউনুচ আলী জানান, কলাই চাষে খরচ কম। প্রতি বিঘা জমিতে ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা খরচ হয়। কৃষকরা জানান কৃষি অফিসের পরার্মশে ভাল জাতের মুগ ও মাস কলাই চাষ করে এবার ভালো ফলন পেয়েছি। চলতি বছর আবহাওয়া একটু প্রতিকূলে থাকলেও বিঘা প্রতি ৫-৬ মণ হারে ফলন হয়েছে। বর্তমান বাজারে এ ডাল ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নিজেদের উৎপাদিত বীজে আবার চাষ করা যায় বলে বীজের ও কোনো সংকট হয় না। উৎপাদন খরচ কম কিন্তু বিক্রয়মূল্য বেশি হয়। অল্প খরচ ও অধিক মুনাফায় এ শস্য ঘরে তোলা যায় বলে দিন দিন এ ডাল আবাদে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তাছাড়া ভাল জাতের মাস ও মুগ কলাই চাষে খরচ কম কিন্তু ফলন বেশি হওয়ায় এবার প্রায় ১শ ৭০ হেক্টর জমিতে উন্নত পদ্ধতিতে মুগ ও মাস কলায়ের চাষ করেছেন চাষিরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস জানান, বেলে দো-আঁশ মাটিতে মুগ ও মাসডালের উৎপাদন ব্যয় খুবই কম এবং ফলন ভালো হয়। উপজেলা সরকারি মডেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মাছুম বিল্লাহ জানান মুগ ও মাষ ডালে মানব শরীরে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট যোগান দেয়।