নৌকার প্রার্থীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা: আহত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের মৃত্যু, শার্শার বাগআঁড়য়ায় তীব্র উত্তেজনা

0

স্টাফ রিপোটার॥ যশোরের শার্শার উপজেলার বাঁগআচড়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় আহত স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল খালেক ধাবকের সমর্থক মোস্তাক ধাবকের (৪০) মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোরে তার মৃত্যু হয়। এ সংবাদ পেয়ে গতকাল সকাল ৮টা থেকে যশোর-সাতক্ষীরা সড়ক অবরোধ করেন তার পক্ষীয়রা। মোস্তাকের মৃত্যুর ঘটনায় ওই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন নিহত মোস্তাক ধাবকের চাচাতো ভাই শফিক মাহমুদ ধাবক।

শফিক মাহমুদ ধাবক জানান, গত ১৬ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে বাগআঁচড়ার সাতমাইল পশুর হাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইলিয়াছ কবির বকুলের নেতৃত্বে ‘তার পালিত’ সস্ত্রাসী মইদুল, আক্তার মাষ্টার, ধুধুলি, তুতুল, আমিন, আশু মেম্বর, আল আমিন তহিদুরসহ ২০/২৫ জন সমর্থক অস্ত্র ও লাঠি নিযে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল খালেকের সমর্থকদের উপর হামলা করে। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক আব্দুল খালেক খতির ধাবক, তার ছেলে মোস্তাক ধাবকসহ ৭ জন মারাত্মক আহত হন। আহত সকলকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে মোস্তাক ধাবকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরের দিন বুধবার তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর রাতে তিনি মারা যান। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত নিহত মোস্তাক ধাবকের পিতা আব্দুল খালেক খতিব ধাবকও ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে গতকাল শনিবার সকালে মোস্তাক ধাবকের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেক ধাবকের কর্মী-সমর্থকরা হত্যাকারীদের আটকের দাবিতে সকাল থেকে সাতমাইল ও বাগআঁচড়ায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এক পর্যায়ে সকাল ৮টার দিকে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে রাখে। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল তিন ঘণ্টা। সকাল ১১টার দিকে নাভারন সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুষ্ঠু বিচার ও আসামিদের আটকের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয়া হয়। এ ঘটনায় গোটা বাগআঁচড়া ইউনিয়নে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বাগআঁচড়া বাজারের দোকানপাট বন্ধ ছিল গতকাল। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোন সময় আরো বড় ধরণের সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকার লোকজন। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় গতকাল রাত ৯টা পর্যন্ত কারো আটকের খবর পাওয়া যায়নি। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল খালেক জানান, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইলিয়াছ কবির পরাজয় নিশ্চিত জেনে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। তিনি বলেন, বকুল চেয়ারম্যান নিজে নেতৃত্ব দিয়ে গত মঙ্গলবার তার কর্মীদের উপর হামলা করেছিল। এ সময় সন্ত্রাসীরা গরু হাটের ২৭ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। কুপিয়ে আহত করে ৭জনকে। তার মধ্যে শনিবার ভোর রাতে আহত মোস্তাক মারা গেছে। শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান জানান, ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।