২০৩১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাংলাদেশে
স্পোর্টস ডেস্ক॥ বেশ কয়েক দিন গুঞ্জনটা উড়েছিল বাতাসে। পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিশ্চিত করেন, বিশ্বকাপ আয়োজনে বিড করেছে বাংলাদেশ। এবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকে সুখবর এলো। আবারও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার আয়োজক নির্বাচিত হয়েছে লাল-সবুজের দেশ। ২০৩১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করবে বাংলাদেশ।
গতকাল মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। ২০২৪ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার আয়োজকের নাম চূড়ান্ত করেছে আইসিসি। সেখানেই জানা গেছে, ২০৩১ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ যৌথভাবে ভারতের সঙ্গে আয়োজন করবে বাংলাদেশ। পাপন আগেই জানিয়েছিলেন, এককভাবে বিশ্বকাপ, বিশেষ করে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করা সম্ভব নয়। পর্যাপ্ত মাঠ বাংলাদেশের নেই। তাই যৌথভাবে আবেদন করেছিল বিসিবি। আইসিসির ঘোষণায়, নতুন চক্রের শেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপটা হবে বাংলাদেশে। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজন করবে ভারত। মাঝের একটি বাদ দিয়ে ২০৩১ সালে আবারও তারা আয়োজক হবে বাংলাদেশের সঙ্গে।
২০১১ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার ভারত-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মিলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার অংশ হয়েছিল লাল-সবুজের দেশ। মাঝে ২০১৪ সালে এককভাবে আয়োজন করেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০৩১ সালে আবারও আয়োজকের ভূমিকায় থাকবে বাংলাদেশ। আট বছরের চক্রে আর কোনও আসরের আয়োজক হতে পারেনি বাংলাদেশ। অর্থাৎ, সময়ের হিসাব কষলে এখন থেকে ১০ বছর পর আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতা আয়োজনের সুযোগ আসবে। অথচ ২০২৩ সালেই ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করা ভারত নতুন চক্রে আয়োজক তিনটি প্রতিযোগিতার! ২০২৪ সালের জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রথম বৈশ্বিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজক হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পরের বছর, মানে ২০২৫ সালের জুনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর বসবে পাকিস্তানে। ২৮ বছর পর কোনও আইসিসি ইভেন্ট হবে এশিয়ার দেশটিতে। সবশেষ ১৯৯৬ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। ২০২৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুই আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কা। পরের বছর ২০২৭ সালের অক্টোবর/নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এখানেই নতুন চমক। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছে নামিবিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে মিলে তারা আয়োজন করবে ৫০ ওভারের বিশ্ব আসর। এর আগে ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সবশেষ যৌথভাবে আয়োজকের ভূমিকায় ছিল। ২০২৮ সালের অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বসবে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে। ঠিক এক বছর পর ভারত আয়োজন করবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ২০৩০ সালে আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে মিলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ইংল্যান্ড। আর পরের বছরই ২০৩১ সালের অক্টোবর/নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ বসবে বাংলাদেশে, সহ-আয়োজক ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে নেই মুশফিক-লিটন-সৌম্য
স্পোর্টস ডেস্ক॥ বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর পাকিস্তান সিরিজের দলে বড় পরিবর্তন আভাস আগেই ছিল। ক্রিকেটপ্রেমীরা অপেক্ষায় ছিলেন কবে ঘোষণা হবে পাকিস্তান সিরিজের দল। অবশেষে মঙ্গলবার বিকালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েছেন পাঁচ ক্রিকেটার, প্রথমবার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন দুই ক্রিকেটার। ১৬ সদস্যের দলে নেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। বিশ্বকাপে থেকে ফিরে এসে তিনি টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য বিশ্রাম চেয়েছিলেন। তার ইচ্ছার গুরুত্ব দিয়ে বিসিবি বিশ্রাম দিয়েছে। যদিও বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। ৮ ম্যাচে ২০.৫৭ গড়ে মুশফিকের রান ছিল ১৪৪। বিশ্বকাপের ব্যর্থতায় তাকে নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল। মুশফিক বিশ্রাম পেলেও দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকারও আসন্ন সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে বাজে সব শট খেলে দ্রুত আউট হয়ে দলকে বিপদে ফেলেছিলেন এই দুই ব্যাটার। বিশ্বকাপ চলাকালেই দুজনকে নিয়ে বিপুল সমালোচনা হচ্ছিল। ৮ ম্যাচে লিটনের রান ছিল ১৩৩। অন্যদিকে ৪ ম্যাচে সৌম্যর সংগ্রহ ২৭ রান। নিয়মিত এই দুই ব্যাটারে আস্থা রাখা নির্বাচকরা এবার আর তা রাখতে পারেননি।এই তিন জনের বাইরে বিশ্বকাপ দল থেকে অনুমিতভাবেই বাদ পড়েছেন দুই ক্রিকেটার। সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ইনজুরিতে আগেভাগেই আরব আমিরাত ছেড়েছিলেন। তাদের অনুপস্থিতিতে প্রথমবার বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন দুই ক্রিকেটার। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন আকবর আলী। হুট করে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে তাকে যোগ করে চমক দেখালেন নির্বাচকরা। মোট ২৯টি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই ক্রিকেটারের। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করা পেসার শহীদুল ইসলামেরও সুযোগ হয়েছে টি-টোয়েন্টি দলে। বিপিএলে জেমকন খুলনা, খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা আছে ডানহাতি এই পেসারের। সব মিলিয়ে ৩৭টি টি-টোয়েন্টি খেলে ৫৪ উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার। এই দুজন ছাড়া বাকি তিন ক্রিকেটার কোন না কোন ফরম্যাটে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। যদিও ইয়াসির আলী রাব্বির এখনও জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি। সাইফ হাসান টেস্ট খেললেও সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট খেলার সুযোগ পাননি। আরেক ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তর সব ফরম্যাটেই খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তবে গত কয়েকটি সিরিজে তিনি টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন না। বিশ্বকাপে স্ট্যান্ডবাই দলে ছিলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। তাকে বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ফেরত পাঠানো হয়েছিল। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬ জনের দলে রাখা হয়েছে এই লেগ স্পিনারকে।
চার জাতি ফুটবলে ফাইনালে সেশেলস
স্পোর্টস ডেস্ক॥ শ্রীলঙ্কায় চার জাতি ফুটবল প্রতিযোগিতায় ফেভারিট ভাবা হয়েছিল মালদ্বীপকে। এমনকি ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু কলম্বোর ফাইনালে যাওয়া হয়নি দ্বীপ দেশটির। আফ্রিকান ছোট্ট দেশ সেশেলসের সঙ্গে আজ (মঙ্গলবার) গোলশূন্য ড্র করে বিদায় নিয়েছে। সমান্তরালে ফাইনাল নিশ্চিত নিয়েছে সেশেলসের। রাউন্ড রবিন লিগে সেশেলস ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট অর্জন করেছে। সমান ম্যাচে মালদ্বীপ ২ পয়েন্ট পেয়েছে। কলম্বোর রেসকোর্স মাঠে বৃষ্টির কারণে বল ঠিকঠাক পায়ে আসছে কমই। কাদা মাঠে দুই দলের খেলতে সমস্যা হয়েছে। মালদ্বীপ আক্রমণ করেও গোল পায়নি। সেশেলসও চেষ্টা করেছে। কিন্তু গোল আসেনি। বরং মাঝেমধ্যে দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দ্বিতীয়ার্ধে যে কারণে দুই দলের একজন করে খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখেছেন। রাতে বাংলাদেশ খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ড্র করলেই জামাল ভূঁইয়ারা ফাইনালে যাবে। তবে হেরে গেলে বিপদ। বিদায় নিতে হবে প্রতিযোগিতা থেকে।
আর্চারি : ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক॥ ২২তম এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে রিকার্ভ মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার দিনের শেষ ইভেন্টে দিয়া সিদ্দিকীর সঙ্গে হাকিম আহমেদ রুবেল জুটি বেঁধে সেমিফাইনালে হারিয়েছেন ভারতের অঙ্কিতা ও কপিল জুটিকে। জয়ের ব্যবধান ছিল ৫-৪ সেট পয়েন্ট। সোনা জয়ের লড়াইয়ে ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া। আর্মি স্টেডিয়ামে এর আগে সকালে রোমান সানা, মোহাম্মদ হাকিম আহমেদ রুবেল ও রাম কৃষ্ণ সাহার সমন্বয়ে গড়া বাংলাদেশ দল সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হেরেছে। রিকার্ভ মহিলা দলগত ইভেন্টে বাংলাদেশ (দিয়া সিদ্দিকী, বিউটি রায় ও নাসরিন আক্তার) সেমিফাইনালে ৬-০ সেটে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরেছে। এর আগে ৫-৩ সেট পয়েন্টে উজবেকিস্তানকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠে স্বাগতিকরা।
ড্র নয়, জিতেই ফাইনালে যেতে চায় বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক॥ বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য বলতে হবে। টানা দুইটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের কাছাকাছি থেকেও নক আউট পর্বে যাওয়া হয়নি। ২০১৮ সালে ঢাকায় নেপালের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে। আর সবশেষ মালেতে নেপালের সঙ্গে ড্র করেই ফাইনাল-বঞ্চিত হতে হয়েছে। এবার অবশ্য চার জাতি প্রতিযোগিতায় ফাইনালে উঠতে বাধা নেপাল নয়, শ্রীলঙ্কা। রবিন লিগের শেষ ম্যাচে এক পয়েন্ট পেলেই কাঙ্ক্ষিত ফাইনালটা খেলতে পারবে। তাই এবার বিদায়ের পুনরাবৃত্তি না করে নতুন ইতিহাসই করতে চাইছে জামাল ভূঁইয়ারা। কলম্বোর রেসকোর্স মাঠে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। মাহিন্দ্রা রাজাপাকসে প্রতিযোগিতায় দুই ম্যাচে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে শ্রীলঙ্কার অর্জন ১। রেসকোর্স মাঠে বাংলাদেশের ফাইনালে খেলতে হলে এক পয়েন্টই যথেষ্ট। বিপরীতে স্বাগতিকদের জিতলেই হবে না, হেড টু হেড কিংবা গোল পার্থক্য সহ অন্য সমীকরণের ওপরও নির্ভর করতে হবে। যদিও এর মধ্যে সেশেলস-মালদ্বীপ ম্যাচের মধ্যে কোন দল ফাইনালে যাবে তা নির্ধারণ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ অবশ্য ড্রয়ের জন্য খেলবে না। নিজেদের স্বভাবসুলভ খেলা চালিয়ে জয়ের জন্যই মাঠে নামবে। আগের ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে যেমন পারফরম্যান্স ছিল, তারই ধারাবাহিকতা রাখতে চাইছে। যদিও গোল করে তা পরে ধরে রাখতে না পারার সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের। আগের দুই ম্যাচেই আলগা হয়ে পড়েছিল রক্ষণ।
২০৩১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাংলাদেশে
স্পোর্টস ডেস্ক॥ বেশ কয়েক দিন গুঞ্জনটা উড়েছিল বাতাসে। পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিশ্চিত করেন, বিশ্বকাপ আয়োজনে বিড করেছে বাংলাদেশ। এবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকে সুখবর এলো। আবারও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার আয়োজক নির্বাচিত হয়েছে লাল-সবুজের দেশ। ২০৩১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করবে বাংলাদেশ।
গতকাল মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। ২০২৪ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার আয়োজকের নাম চূড়ান্ত করেছে আইসিসি। সেখানেই জানা গেছে, ২০৩১ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ যৌথভাবে ভারতের সঙ্গে আয়োজন করবে বাংলাদেশ। পাপন আগেই জানিয়েছিলেন, এককভাবে বিশ্বকাপ, বিশেষ করে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করা সম্ভব নয়। পর্যাপ্ত মাঠ বাংলাদেশের নেই। তাই যৌথভাবে আবেদন করেছিল বিসিবি। আইসিসির ঘোষণায়, নতুন চক্রের শেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপটা হবে বাংলাদেশে। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজন করবে ভারত। মাঝের একটি বাদ দিয়ে ২০৩১ সালে আবারও তারা আয়োজক হবে বাংলাদেশের সঙ্গে।
২০১১ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার ভারত-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মিলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার অংশ হয়েছিল লাল-সবুজের দেশ। মাঝে ২০১৪ সালে এককভাবে আয়োজন করেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০৩১ সালে আবারও আয়োজকের ভূমিকায় থাকবে বাংলাদেশ। আট বছরের চক্রে আর কোনও আসরের আয়োজক হতে পারেনি বাংলাদেশ। অর্থাৎ, সময়ের হিসাব কষলে এখন থেকে ১০ বছর পর আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতা আয়োজনের সুযোগ আসবে। অথচ ২০২৩ সালেই ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করা ভারত নতুন চক্রে আয়োজক তিনটি প্রতিযোগিতার! ২০২৪ সালের জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রথম বৈশ্বিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজক হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পরের বছর, মানে ২০২৫ সালের জুনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর বসবে পাকিস্তানে। ২৮ বছর পর কোনও আইসিসি ইভেন্ট হবে এশিয়ার দেশটিতে। সবশেষ ১৯৯৬ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। ২০২৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুই আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কা। পরের বছর ২০২৭ সালের অক্টোবর/নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এখানেই নতুন চমক। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছে নামিবিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে মিলে তারা আয়োজন করবে ৫০ ওভারের বিশ্ব আসর। এর আগে ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সবশেষ যৌথভাবে আয়োজকের ভূমিকায় ছিল। ২০২৮ সালের অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বসবে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে। ঠিক এক বছর পর ভারত আয়োজন করবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ২০৩০ সালে আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে মিলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ইংল্যান্ড। আর পরের বছরই ২০৩১ সালের অক্টোবর/নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ বসবে বাংলাদেশে, সহ-আয়োজক ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে নেই মুশফিক-লিটন-সৌম্য
স্পোর্টস ডেস্ক॥ বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর পাকিস্তান সিরিজের দলে বড় পরিবর্তন আভাস আগেই ছিল। ক্রিকেটপ্রেমীরা অপেক্ষায় ছিলেন কবে ঘোষণা হবে পাকিস্তান সিরিজের দল। অবশেষে মঙ্গলবার বিকালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েছেন পাঁচ ক্রিকেটার, প্রথমবার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন দুই ক্রিকেটার। ১৬ সদস্যের দলে নেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। বিশ্বকাপে থেকে ফিরে এসে তিনি টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য বিশ্রাম চেয়েছিলেন। তার ইচ্ছার গুরুত্ব দিয়ে বিসিবি বিশ্রাম দিয়েছে। যদিও বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। ৮ ম্যাচে ২০.৫৭ গড়ে মুশফিকের রান ছিল ১৪৪। বিশ্বকাপের ব্যর্থতায় তাকে নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল।
মুশফিক বিশ্রাম পেলেও দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকারও আসন্ন সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে বাজে সব শট খেলে দ্রুত আউট হয়ে দলকে বিপদে ফেলেছিলেন এই দুই ব্যাটার। বিশ্বকাপ চলাকালেই দুজনকে নিয়ে বিপুল সমালোচনা হচ্ছিল। ৮ ম্যাচে লিটনের রান ছিল ১৩৩। অন্যদিকে ৪ ম্যাচে সৌম্যর সংগ্রহ ২৭ রান। নিয়মিত এই দুই ব্যাটারে আস্থা রাখা নির্বাচকরা এবার আর তা রাখতে পারেননি।
এই তিন জনের বাইরে বিশ্বকাপ দল থেকে অনুমিতভাবেই বাদ পড়েছেন দুই ক্রিকেটার। সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ইনজুরিতে আগেভাগেই আরব আমিরাত ছেড়েছিলেন। তাদের অনুপস্থিতিতে প্রথমবার বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন দুই ক্রিকেটার। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন আকবর আলী। হুট করে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে তাকে যোগ করে চমক দেখালেন নির্বাচকরা। মোট ২৯টি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই ক্রিকেটারের। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করা পেসার শহীদুল ইসলামেরও সুযোগ হয়েছে টি-টোয়েন্টি দলে। বিপিএলে জেমকন খুলনা, খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা আছে ডানহাতি এই পেসারের। সব মিলিয়ে ৩৭টি টি-টোয়েন্টি খেলে ৫৪ উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার। এই দুজন ছাড়া বাকি তিন ক্রিকেটার কোন না কোন ফরম্যাটে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। যদিও ইয়াসির আলী রাব্বির এখনও জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি। সাইফ হাসান টেস্ট খেললেও সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট খেলার সুযোগ পাননি। আরেক ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তর সব ফরম্যাটেই খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তবে গত কয়েকটি সিরিজে তিনি টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন না। বিশ্বকাপে স্ট্যান্ডবাই দলে ছিলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। তাকে বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ফেরত পাঠানো হয়েছিল। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬ জনের দলে রাখা হয়েছে এই লেগ স্পিনারকে।
চার জাতি ফুটবলে ফাইনালে সেশেলস
স্পোর্টস ডেস্ক॥ শ্রীলঙ্কায় চার জাতি ফুটবল প্রতিযোগিতায় ফেভারিট ভাবা হয়েছিল মালদ্বীপকে। এমনকি ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু কলম্বোর ফাইনালে যাওয়া হয়নি দ্বীপ দেশটির। আফ্রিকান ছোট্ট দেশ সেশেলসের সঙ্গে আজ (মঙ্গলবার) গোলশূন্য ড্র করে বিদায় নিয়েছে। সমান্তরালে ফাইনাল নিশ্চিত নিয়েছে সেশেলসের।
রাউন্ড রবিন লিগে সেশেলস ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট অর্জন করেছে। সমান ম্যাচে মালদ্বীপ ২ পয়েন্ট পেয়েছে। কলম্বোর রেসকোর্স মাঠে বৃষ্টির কারণে বল ঠিকঠাক পায়ে আসছে কমই। কাদা মাঠে দুই দলের খেলতে সমস্যা হয়েছে। মালদ্বীপ আক্রমণ করেও গোল পায়নি। সেশেলসও চেষ্টা করেছে। কিন্তু গোল আসেনি। বরং মাঝেমধ্যে দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দ্বিতীয়ার্ধে যে কারণে দুই দলের একজন করে খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখেছেন। রাতে বাংলাদেশ খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ড্র করলেই জামাল ভূঁইয়ারা ফাইনালে যাবে। তবে হেরে গেলে বিপদ। বিদায় নিতে হবে প্রতিযোগিতা থেকে।
আর্চারি : ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক॥ ২২তম এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে রিকার্ভ মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার দিনের শেষ ইভেন্টে দিয়া সিদ্দিকীর সঙ্গে হাকিম আহমেদ রুবেল জুটি বেঁধে সেমিফাইনালে হারিয়েছেন ভারতের অঙ্কিতা ও কপিল জুটিকে। জয়ের ব্যবধান ছিল ৫-৪ সেট পয়েন্ট। সোনা জয়ের লড়াইয়ে ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া। আর্মি স্টেডিয়ামে এর আগে সকালে রোমান সানা, মোহাম্মদ হাকিম আহমেদ রুবেল ও রাম কৃষ্ণ সাহার সমন্বয়ে গড়া বাংলাদেশ দল সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হেরেছে। রিকার্ভ মহিলা দলগত ইভেন্টে বাংলাদেশ (দিয়া সিদ্দিকী, বিউটি রায় ও নাসরিন আক্তার) সেমিফাইনালে ৬-০ সেটে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরেছে। এর আগে ৫-৩ সেট পয়েন্টে উজবেকিস্তানকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠে স্বাগতিকরা।
ড্র নয়, জিতেই ফাইনালে যেতে চায় বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক॥ বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য বলতে হবে। টানা দুইটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের কাছাকাছি থেকেও নক আউট পর্বে যাওয়া হয়নি। ২০১৮ সালে ঢাকায় নেপালের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে। আর সবশেষ মালেতে নেপালের সঙ্গে ড্র করেই ফাইনাল-বঞ্চিত হতে হয়েছে। এবার অবশ্য চার জাতি প্রতিযোগিতায় ফাইনালে উঠতে বাধা নেপাল নয়, শ্রীলঙ্কা। রবিন লিগের শেষ ম্যাচে এক পয়েন্ট পেলেই কাঙ্ক্ষিত ফাইনালটা খেলতে পারবে। তাই এবার বিদায়ের পুনরাবৃত্তি না করে নতুন ইতিহাসই করতে চাইছে জামাল ভূঁইয়ারা। কলম্বোর রেসকোর্স মাঠে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। মাহিন্দ্রা রাজাপাকসে প্রতিযোগিতায় দুই ম্যাচে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে শ্রীলঙ্কার অর্জন ১। রেসকোর্স মাঠে বাংলাদেশের ফাইনালে খেলতে হলে এক পয়েন্টই যথেষ্ট। বিপরীতে স্বাগতিকদের জিতলেই হবে না, হেড টু হেড কিংবা গোল পার্থক্য সহ অন্য সমীকরণের ওপরও নির্ভর করতে হবে। যদিও এর মধ্যে সেশেলস-মালদ্বীপ ম্যাচের মধ্যে কোন দল ফাইনালে যাবে তা নির্ধারণ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ অবশ্য ড্রয়ের জন্য খেলবে না। নিজেদের স্বভাবসুলভ খেলা চালিয়ে জয়ের জন্যই মাঠে নামবে। আগের ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে যেমন পারফরম্যান্স ছিল, তারই ধারাবাহিকতা রাখতে চাইছে। যদিও গোল করে তা পরে ধরে রাখতে না পারার সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের। আগের দুই ম্যাচেই আলগা হয়ে পড়েছিল রক্ষণ।





