শার্শায় নির্বাচনপূর্ব সহিংসতায় মেম্বার প্রার্থীসহ ১৩ জন আহত

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের পন্ডিতপুর গ্রামে নির্বাচনপূর্ব সহিংসতায় উভয়পক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ভেতর ৭ জনকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে এ দিন সকালে ৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে দলের তাদের প্রাণনাশের শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। আহতরা হচ্ছেন, পন্ডিতপুর গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের পুত্র রুবেল, আমির আলীর পুত্র ইউসুফ আলী, আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র আলাউদ্দীন, আনোয়ার হোসেন, নবীছ উদ্দিনের পুত্র আমীর আলী, আয়ুব হোসেনের পুত্র জাকির হোসেন, মাওলানা আব্দুল খালেকের পুত্র আব্দুল হালিম, খলিশাখালী গ্রামের ওসমান গণির পুত্র মশিউর রহমান, জয়নাল আবেদীনের পুত্র সজিব, শাহাজান আলীর পুত্র শাহীন, মল্লিকের পুত্র আব্দুল আজিজ, চান খাঁ’র পুত্র মকবুল হোসেন, মিচির আলী। আহত ইউসুফ আলী জানিয়েছেন, আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ১নং ডিহি ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড পন্ডিতপুর গ্রামের তারা প্রতীক নিয়ে জজমিয়া ও মোরগ প্রতীক নিয়ে খান জাহান সদস্য পদে নির্বাচন করছেন। তাদের কেউ নৌকা প্রতীকের আসাদুজ্জামানের সমর্থক, আবার কেউ ঘোড়া প্রতীকের আব্দুল জলিলের সমর্থক। সোমবার রাত ৮টার দিকে সদস্যপ্রার্থী জজমিয়ার পক্ষে পন্ডিতপুর শিশুতলায় ইউসুফ আলীসহ অন্যান্যরা প্রচার মিছিল বের করে। এ সময় খানজাহানের লোকজন বাধা দেয় এবং উজ্জ্বল ও মেহেদী হাসানকে মারার জন্য ধাওয়া করে। তখন লোকজন দু’গ্রুপের বিভক্ত হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ১৩ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে সদস্য প্রার্থী জজমিয়াসহ ১৩ জন আহত হন। আহতদের ভেতর জজমিয়াকে নাভারণ হাসপাতালে এবং ৭ জনকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা গ্রামে চিকিৎসা নেন। ইউসুফ আলী জানিয়েছেন, সংঘর্ষের সময় নৌকা প্রতীক টাঙানো ছিল। নৌকা প্রতীকের বাঁশের খুঁটি নিয়ে লোকজন সহিংসতায় লিপ্ত হয় এবং প্রতীক ভাংচুর করে। প্রতীক ভাঙচুর করার জন্যে একে অন্যকে দোষারূপ করতে থাকে। প্রার্থীগণ জানিয়েছেন, সদস্য প্রার্থীর প্রচার নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধলেও এর মূলে রয়েছে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুজ্জামান। ৪ প্রার্থী নিজেদের প্রাণনাশের আশংকা প্রকাশ করে সোমবার যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।