২৯ বছর পর আইসিসি ইভেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব পেল পাকিস্তান

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ১৯৯৬ সালের পর নিজেদের মাটিতে আর কোনো বৈশ্বিক ইভেন্ট আয়োজকের দায়িত্ব পালন করতে পারেনি পাকিস্তান। এর মাঝে ২০০৯ সালে থেকে দেশটিকে এক প্রকার একঘরে করে রেখেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। লাহোরে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দীর্ঘদিন দেশটিতে খেলতে যায়নি কোনো দেশ। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল পাকিস্তানের করাচিতে। সেবার বিজয়ী শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গার হাতে ট্রফি তুলে দিয়েছিলেন, তখনকার পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী, প্রয়াত বেনজির ভুট্টো। ২০১১ বিশ্বকাপেরও যৌথ আয়োজক ছিল পাকিস্তান। কিন্তু নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে দেশটিকে আয়োজকের মর্যাদা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল আইসিসি। অবশেষে ২৯ বছর পর কোনো একটি আইসিসি ইভেন্ট আয়োজক হওয়ার মর্যাদা পেলো পাকিস্তান। ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদেরকে। ২০১৭ সালে সর্বশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেবার এই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। ২০২৫ সাল পর্যন্ত ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা ধরে রাখবে তারা। এরপর ঘরের মাঠেই শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে নামবে পাকিস্তান। ২০২৪ থেকে ২০৩১- এই আট বছরের জন্য আটটি ইভেন্টের আয়োজকের নাম ঘোষণা করে আইসিসি। মোট ১৪টি দেশকে নির্ধারণ করা হয়েছে এই আইট টুর্নামেন্ট আয়োজন করার জন্য। এর মধ্যে তিনটি হচ্ছে আইসিসি সহযোগী সদস্য এবং ১১টি হলো টেস্ট খেলুড়ে দেশ।
আইসিসির পক্ষ থেকে ৮ বছরের আটটি স্বাগতিক দেশ বাছাই করার জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল তার চেয়ারম্যান ছিলেন মার্টিন স্নেডেন, সদস্য ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি এবং রিকি স্কেরিট। এই কমিটিই পরবর্তী আটটি ইভেন্টের জন্য স্বাগতিক দেশ নির্ধারণ করেছে। আইসিসি বোর্ড তাদের এই প্রস্তাবকে গ্রহণ করে নিয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর রমিজ রাজার এটা অনেক বড় একটি সাফল্য। আইসিসির এই সিদ্ধান্তের পরই টুইট করেন তিনি। টুইটে রমিজ রাজা লিখেন, ‘এটা সত্যিই অনেক বড় একটি সম্মানের বিষয় যে, পাকিস্তান আইসিসি ইভেন্ট, ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হতে যাচ্ছে। এই অসাধারণ সংবাদটি নিশ্চিত, পাকিস্তানের কোটি কোটি ক্রিকেট সমর্থকের হৃদয়ে আন্দোলিত হবে। একই সঙ্গে বিশ্বের সমস্ত ক্রিকেট সমর্থক, বিশেষজ্ঞরা দেখবে বড় বড় দলগুলো পাকিস্তানে খেলতে এসেছে। আর খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সমস্ত বিশ্বই দেখবে, পাকিস্তান আয়োজক হিসেবে কতটা সেরা অবস্থানে রয়েছে।’