মনিরামপুরে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা: ব্রিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর

0

স্টাফ রিপোর্টার, মনিরামপুর (যশোর)॥ যশোরের মনিরামপুরে ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা লেগেইে আছে। সোমবার রাতে দূর্বাডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজের নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আর এ ঘটনায় দোষারোপ করে নৌকার প্রার্থী মাজহারুল আনোয়ারসহ ২৬ জনের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ। তবে পুলিশ বলছে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউপির নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ অভিযোগ করেন, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নৌকার প্রার্থী মাজহারুল আনোয়ার গনবিচ্ছিন্ন হয়ে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর বিরুদ্ধে হন্নে হয়ে উঠেছে। অভিযোগ করা হয়েছে, মাজহারুলের নেতৃত্বে ২৫/২৬ জন সন্ত্রাসী সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে খাটুয়াডাঙ্গা বাজারে তার(বিদ্রোহী প্রার্থী) মোটরসাইকেল প্রতিকের নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ ছাড়াও অভিযোগ করা হয়েছে এর আগে সকালের দিকে দূর্বাডাঙ্গা বাজারে তার অপর একটি(নির্বাচনী) অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। অভিযোগ রয়েছে ভাংচুরের পর সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী মুদি দোকানী রফিক গাজী(৫৫)কে মারপিট করেন নৌকার প্রার্থী মাজহারুল আনোয়ার। এ সময় অগ্নি সংযোগ করা হয় বিদ্রোহী প্রার্থীর মোটরসাইকেল প্রতিকের ব্যানারে। আর এসব ঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ বাদি হয়ে নৌকার প্রার্থী মাজহারুল আনোয়ারকে প্রধান করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত মোট ২৬ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ করেন। ভাংচুরের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তজিম উদ্দিন নামে নৌকার এক কর্মীকে আটক করা হয় সোমবার রাতে। তবে আটকের কথা অস্বীকার করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নূর ই আলম সিদ্দিকী জানান, তদন্তের পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজের করা অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী মাজহারুল আনোয়ার জানান, কোন ধরনের হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। খাটুয়াডাঙ্গা বাজারে স্থাণীয় আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে দুপক্ষের কর্মীসমর্থকদের মাঝে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। উল্লেখ্য ইউপি নির্বাচনে ইতিমধ্যে উপজেলার হরিদাসকাটিতে সহিংসতায় আহত হন বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর কবির লিটন ও তার ভাই জাহাঙ্গীর কবিরসহ পাঁজন। এছাড়াও শ্যামকুড় ইউপিতে নৌকা এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয় অন্তত: আরো ১০ জন।