ফেক আইডি খুলে প্রশ্নফাঁসের প্রচার

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিভিন্নভাবে ভুয়া মেসেঞ্জার, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্র ফাঁস করে বিজ্ঞাপন দেয় প্রতারক চক্র। এই চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিএমপি)। তারা এসব মাধ্যমে লোভনীয় অফার দিয়ে পরীক্ষার্থী কিংবা তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রোববার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তার আরো বলেন, প্রতারক চক্রের তিন জন হলো কারিম উল্লাহ, আল রাফি ওরফে টুটুল এবং আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে তপু। তাদের টঙ্গী ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। তিনি বলেন, কারিম উল্লাহ টঙ্গী সরকারি কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। রাফি মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজের মানবিকে পড়াশুনা করে। আর তপু হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তারা গত চার বছর ধরে এভাবে ফেক আইডি খুলে প্রতারণা করে আসছে। হাফিজ আক্তার আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা মূলত বিভিন্নভাবে ভুয়া মেসেঞ্জার, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে শতভাগ নিশ্চয়তা সহকারে বিভিন্ন বোর্ডের সব বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস করার বিজ্ঞাপন দেয়। তাদের কাছ থেকে সাহায্য নেওয়ার জন্য পরীক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকদের প্রাথমিকভাবে ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা দিয়ে সদস্য হতে হয়। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এই মর্মে সার্কুলেশন করতো যে, ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলা এবং জেলা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্ন বহনকালে দায়িত্বশীলদের একজন কৌশলে প্রশ্ন সরিয়ে রেখে ছবি তুলে পাঠিয়ে দেবে। সেই ছবি তারা বিভিন্ন জনকে মেসেঞ্জার, টেলিগ্রাফ এবং ইমেইলে সেন্ড করে। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা নগদ, বিকাশ, রকেটের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে প্রতি প্রশ্নের জন্য সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা করে নেয়। এভাবে তারা এ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাফিজ আক্তার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তিন জনের বিরুদ্ধে আগে থেকে তথ্য ছিল। এরপরে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকে। পরে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পরীক্ষার আগের রাতে তাদের গ্রেফতার করতে পারায় তারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে পারেনি বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।