যশোরে গ্লিটার্স আরএসটি ওয়ার্ল্ডের এমডিসহ ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে প্রায় ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ এনে যশোরে গ্লিটার্স আরএসটি ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) আমিরুল ইসলাম মধুসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা করেছেন মো. রফিকুল ইসলাম লিটন নামে এক ব্যক্তি। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন-ব্রাম্মনবাড়িয়ার বাঞ্জারামপুর থানার পূর্বহাটির মতিন মিয়ার ছেলে বর্তমানে ঢাকার মিরপুরের ছালেহউদ্দিন মার্কেট রোডের শাহ আলী বাগ এলাকার বাসিন্দা গ্লিটার্স আরএসটি ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আমিরুল ইসলাম মধু, চাঁদপুরের নারায়ণপুর দক্ষিণ মতলেব এলাকার মোতালেব শেখের ছেলে একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিকী জুয়েল, সিইও হানিফ মো. হাসান, মার্কেটিং ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান কবির, অপারেশন ডিরেক্টর সোহরাব হোসেন, পার্চেজ ডিরেক্টর সৈয়দ কামরুল হাসান এবং বিডিএম ডিরেক্টর জসিম উদ্দিন। অভিযুক্তদের প্রতিষ্ঠানের প্রধান অফিস ঢাকার তেজগাঁওের মনিপুরী পাড়ার লায়ন শপিং কমপ্লেক্সে।
যশোর শহরের বকচর হুশতলা এলাকার মৃত কওছার আলীর ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম লিটনের অভিযোগ, আসামিরা গ্লিটার্স আরএসটি ওয়ার্ল্ড লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে দেশব্যাপী ব্যবসা করে আসছেন। তারা তাকে জানান যে, তাদের প্রতিষ্ঠানটি পদ্মা ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ব্যবসা করছেন। তাদের প্রতিষ্ঠানে ১ বছর মেয়াদে ১৩শ’ টাকা জমা দিয়ে একটি আইডি খুললে প্রতিদিন ১২ টাকা হারে মুনাফা প্রদান করা হবে। কর্মকর্তাদের এই কথায় বিশ্বাস করে তিনি চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মে পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে ৫২৫ডট আইডি খুলে ৬ লাখ ৮২ হাজার ৫শ’ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু তাকে প্রতিশ্রুত অনুযায়ী মুনাফা দেয়া হয়নি। দীর্ঘ ৫ মাস ধরে কোনো মুনাফা না পেয়ে তিনি ঢাকার অফিসে গিয়ে তাদের সাথে দেখা করেন। এ সময় আসামিরা যশোরে এসে তাকে মুনাফাসহ মূল টাকা ফেরত দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। গত ৬ আগস্ট আসামিরা যশোরে এলে তাদের কাছে টাকা দাবি করেন রফিকুল ইসলাম লিটন। কিন্তু আসামিরা তাকে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এক পর্যায়ে আসামিরা তাকে হুমকি দিয়ে বলেন যে, ‘পারলে টাকা কোর্ট থেকে আদায় করে নিও। ঢাকায় গিয়ে তোমরা কোনো টাকা আদায় করতে পারবে না। প্রয়োজনে পুলিশ প্রশাসনকে টাকা দিয়ে তোমাদের খুন করে লাশ বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেব।’ ফলে আসামিদের কাছ থেকে আসল ৬ লাখ ৮২ হাজার ৫শ’ টাকা এবং মুনাফার সাড়ে ৫ লাখ টাকা টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রফিকুল ইসলাম লিটন।