মেঘনা নদীর অংশ বিশেষে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের স্থাপনা নির্মাণে স্থিতাবস্থার নির্দেশ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের দুটি মৌজার মেঘনা নদীর অংশবিশেষ ও নদীর সঙ্গে সংযুক্ত সোনারামপুর খাল ভরাট এবং সেখানে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) স্থাপনা নির্মাণ কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের জন্য এই স্থিতাবস্থার নির্দেশ দেয়া হয়। সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
নদীর অংশবিশেষ ও সোনারামপুর খাল ভরাটের ফলে ক্ষতি নিরূপণ ও আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। আদেশ পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালককে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া, রুলে আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর ও বাহাদুরপুর মৌজা দিয়ে প্রবাহিত মেঘনা নদীর অংশবিশেষ, সোনারামপুর খাল ভরাটের কার্যক্রম বন্ধে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আশরাফ আলী, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। পরে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে নতুন সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে জায়গা ভরাট করে দখলে নিয়েছে এপিএসসিএল কর্তৃপক্ষ। এতে পরিবেশগত বিপর্যয়ের পাশাপাশি নদীর গতিপথ পরিবর্তন, আশুগঞ্জ নৌবন্দর এলাকায় ব্যাপক নদীভাঙন ও নদীতে জেগে ওঠা চরসোনারামপুর গ্রামটি বিলীন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যে কারণে মেঘনা নদী ও সোনারামপুর খাল রক্ষায় নির্দেশনা চেয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) রিটটি করে।