মনিরামপুরে আমন ধানের ক্ষেতে নেক ব্লাস্ট রোগ উৎপাদন কম হবার আশঙ্কা কৃষকদের

0

ওসমান গণি, রাজগঞ্জ (যশোর) সংবাদদাতা॥ যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় বেশ কয়েকটি মাঠের ধানে নেক ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। চলতি মৌসুমে কৃষকরা আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করলেও এ রোগের কারণে ফলন নিয়ে আতঙ্কিত তারা। এ রোগের ফলে ধানের শীষের গোড়া থেকে শুকিয়ে যাচ্ছে। চাষিদের অভিযোগ মতে জানাযায়, উপজেলার ঝাঁপা, হরিহরনগর, খেদাপাড়া, রোহিতা, মশি^মনগর ও চালুয়াহাটি ইউনিয়নের মাঠের আমন ধানে ব্যাপকভাবে নেক ব্লাস্ট বা শীষ শুকানো রোগ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন মাঠে সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠে সবুজ ধানে ভরে উঠেছে। তবে বি আর-৫১ জাতের ধানের শীষ গোড়া শুকিয়ে চিকন হয়ে গেছে। এছাড়া স্বর্ণা, বি আর-১০ ও বিনা-১৭ জাতের ধানের শীষও শুকিয়ে গেছে। ঝাঁপা ইউনিয়নের হানুয়ার বাগেরালী পাড়ার চাষি আনিছুর ও নজরুল ইসলাম জানান, অধিক ফসলের আশায় তারা ২/৩ বিঘা জমিতে বি আর ৫১ জাতের ধান চাষ করেছিলেন। শীষ বের হওয়ার পর গোড়া থেকে শুকিয়ে চিকন হয়ে গেছে। হরিহরনগর ইউনিয়নের ডুমুরখালী গ্রামের চাষি বিল্লাল হোসেন জানান. তার এক বিঘাসহ অনেক কৃষকের ধান ক্ষেতের বাইল(শীষ) শুকানো রোগ দেখা দিয়েছে। খেদাপাড়া ইউনিয়নের গালদা গ্রামের মোশারফ হোসেন, আবু বক্কর ও আজিজুর রহমান বলেন, তাদের আমন ধান ক্ষেতসহ সমস্ত মাঠের ‘বাইল’ শুকানো রোগ দেখা দিয়েছে। এছাড়া রোহিতার রাশেদ, মশি^মনগরের শাহপুর গ্রামের হাবিবুর, ফারুখ ও চালুয়াহাটি ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের রিজাউল, তবিবর রহমান জানান, সারা মাঠে ৫১ জাতের ধানে শীষ শুকানো রোগ দেখা দিয়েছে। এ কারণে ফলন নিয়ে তারা আতঙ্কিত রয়েছেন। মনিরামপুর উপজেলার কৃষি অফিসের ফসলের রোগ প্রতিরোধ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার জানান, রাতে শীত ও দিনের বেলায় গরম আবহাওয়ার কারণে ধানে এ নেক ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটালে প্রতিরোধ সম্ভব হবে। উপজেলা বৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ২২ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমি। সে ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী চাষ হয়েছে। উপজেলায় মোট চাষ হয়েছে ২২ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে।