যে ৩ অভ্যাসেই নিয়ন্ত্রণে আসবে ডায়াবেটিস

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ডায়াবেটিসের সমস্যায় এখন প্রায় প্রতিটি পরিবারেই অন্তত একজন হলেও ভুগছেন! শুধু বাংলাদেশে নয় পুরো বিশ্বেই ডায়াবেটিসের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
শুধু বড়রাই নন, ছোটদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে ডায়াবেটিস। অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণেই ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দেয়।
এই রোগে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস প্রধাণত ২ প্রকার। টাইপ ১ ডায়াবেটিস ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস। টাইপ ১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না।
অন্যদিকে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না অথবা উৎপন্ন হলেও সঠিকভাবে কাজ করে না।
ভারতের হেলথটেক স্টার্টআপ ‘ফিটারফ্লাই’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ডা. আরবিন্দর সিংগাল জানান, যাদের মধ্যে ডায়াবেটিসের পারিবারিক ইতিহাস আছে তাদের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ডা. সিংগালের মতে, চাল ও গমের তৈরি খাবার বেশি খাওয়ার কারণে শরীরে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। যা ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
তার মতে, শরীর সহজেই কার্বোহাইড্রেট ভেঙে ফেলে, যা গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাহলে কী করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে?
ডা. সিংগাল প্রি ডায়াবেটিসকে প্রতিহত করার জন্য খুব সহজ উপায়ের পরামর্শ দিয়েছেন। যা ৯০ দিন অনুসরণ করলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যাবে।
কার্বোহাইড্রেট কম খান
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কতো ক্যালোরি ও কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করছেন তা জেনে রাখা দরকার। চিকিৎসকের মতে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া।
বেশিরভাগ মানুষ ৬০-৭০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করে। ১০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট যদি কমিয়ে দেয় তাহলে আপনি এর পরিবর্তন দেখতে শুরু করবেন।
শরীরচর্চা করুন
যোগব্যায়াম শরীরের স্ট্রেস অনেকটাই কমিয়ে দেয়। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এজন্য প্রতিদিনের রুটিন অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণা অনুসারে, যাদের মূল শক্তি বেশি তাদের স্ট্রোক, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৩৩ শতাংশ কম।
পর্যাপ্ত ঘুম ও স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ জরুরি
ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে হাঁটা ও বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। শরীরের ক্লিনজিং সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের পরামর্শ দেওয়া হয়। রাতের শেষ খাবার ও ঘুমানোর সময়ের মধ্যে অন্তত দু’ঘণ্টার ব্যবধান থাকা উচিত।