খুলনায় পুকুরে মিললো স্বামী স্ত্রী ও মেয়ের লাশ

0

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা॥ খুলনার কয়রা উপজেলায় একটি পুকুর থেকে একই পরিবারের তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের বামিয়া গ্রামের পুকুরে স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের কন্যাসন্তানের লাশ ভেসে ওঠে। এ ঘটনায় পুলিশ নারীসহ চার প্রতিবেশীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। নিহতরা হলেন বামিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মাজেদ গাজীর ছেলে হাবিবুল্লাহ গাজী (৩৩), তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (২৫)ও মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী হাবিবা খাতুন টুনি (১৩)।
স্থানীয়রা জানায়, হাবিবুল্লাহ পেশায় দিনমজুর। মেয়ে হাবিবা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। সোমবার বিকেলে তাদের রাস্তায় বের হতে দেখেছিল তারা। মঙ্গলবার সকালে পুকুরে পানি আনতে গিয়ে এক নারী তাদের ভাসমান লাশ দেখতে পায়। সাথে সাথে স্থানীয়দের জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। এরপর পুলিশ এসে নিহতদের লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা। বাগালী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ আব্দুস সামাদ গাজী জানান, নিহতরা আমার এলাকার বাসিন্দা। তারা অত্যন্ত নীরিহ। কারো সাথে কোন প্রকার শত্রুতা ছিল বলে জানা নেই। নিহতের এক ছেলে খুলনায় থেকে লেখাপড়া করে। কয়রা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, বাগালী ইউনিয়ন পরিষদের পাশে বসবাসকারী হাবিবুল্লাহ, তার স্ত্রী বিউটি এবং তাদের মেয়ে টুনির লাশ ভেসে ওঠে পুকুরে। তিনজনের মাথায় ও মুখে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর পুকুরে লাশ গোপনের চেষ্টা করা হয়েছে। দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে থানায় নেয়া হয়েছে। তারা হলেন সুলতানা (২৫), নাঈম (২২), জিয়া (২৭) ও কিবরাল (৩০)। ওসি মোঃ শাহাদাৎ হোসেন আরও জানান, হত্যার নেপথ্যে বেশ কিছু ক্লু জানা গেছে। সেগুলো নিয়েই তদন্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নারীসহ চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।