আইন অমান্য করে ফিশিং ট্রলার সাগরে

0

শরণখোলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা॥ ইলিশ ধরার অবরোধ শেষ না হতেই অনেক ফিশিং ট্রলার ছুটে গেছে সাগরে। অথচ ২২ দিনের অবরোধ শেষ হবে আজ (সোমবার) মধ্যরাতে। মা ইলিশ সংরক্ষণে ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয় অবরোধ। ২২দিনের সেই অবরোধ শেষ হবে আজ মধ্য রাতে। এর পরই শুরু হবে জেলেদের সমুদ্রযাত্রা। সকল নদ-নদীতে জাল ফেলে মাছ শিকার করবেন জেলেরা। ইতোমধ্যে জাল-ট্রলার মেরামত করে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ট্রলার নিয়ে ঘাটে অপেক্ষা করছেন সবাই। বাগেরহাটের শরণখোলার জেলে-মহাজনরা জানিয়েছেন, অবরোধ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাছের গোনও শেষ হয়েছে। বে-গোনে সমুদ্রে গিয়ে তেমন লাভ হবে না। গোন না হলে জালে মাছ পড়ে না। তবুও দীর্ঘদিনের অবরোধ শেষে জেলেরা আর ঘরে বসে থাকতে চাচ্ছে না। তাই লোকসান হলেও তারা সাগরে যাবেন।


এদিকে, রাত ১২টার পর থেকেই ট্রলার সাগরে যাওয়ার কথা। নির্ধারিত সময়ের আগে যাতে কোনো ট্রলার যেতে না পারে সেজন্য মৎস্য বিভাগ বলেশ্বর নদে টহলে রয়েছে। কিন্তু সেই নিয়ম ভেঙে সোমবার দুপুরেই গোপনে কিছু ট্রলার সাগরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
শরণখোলা ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবর তালুকদার জানান, এবারের অবরোধ সঠিক সময় পড়েনি। গোনের হিসাব না করেই দেওয়া হয়েছে। যে কারণে ২২দিনের অবরোধের শেষমুহূর্তে গোনও শেষ হয়েছে। একটি ট্রলার সাগরে পাঠাতে এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা খচর হয়। কিন্তু গোন না পাওয়ায় জেলে-মহাজনদের আবার লোকসানে পড়তে হবে।


বাগেরহাট জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন জানান, ইলিশের মৌসুম প্রায় শেষের পথে। এবছর ইলিশও তেমন পড়েনি। তাছাড়া, মৌসুমের শুরু থেকে কয়েকদফা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং দুটি অবরোধে এবার সবাই লোকসানে রয়েছে। জাল- ট্রলার মেরামত, জ্বালানী তেল, বরফ ও সরদসামগ্রী নিয়ে একেকটি ট্রলার সাগরে পাঠাতে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা কখরচ হবে।
এই মৎজীবী নেতা জানান, শরণখোলায় তিন শতাধিক ফিশিং ট্রলার রয়েছে। বরফ সংকটের কারণে প্রথমদিনে সব ট্রলার সাগরে রওনা হতে পারবে না। শরণখোলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পারভেজ বলেন, কোনো ট্রলার যাতে নির্ধারিত সময়ের আগে যেতে না পারে সেজন্য বলেশ্বর নদে টহলে রয়েছি। কিছু ট্রলার নির্দেশনা উপেক্ষা করে দুপুরেই যাওয়ার চেষ্টা করে। দু-একটি ট্রলার গােপনে সাগরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে বলে জেনেছি। এদেরকে চিহ্নি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।