ছেলে হত্যা মামলা প্রত্যহার না করায় মাকে মারধরের অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে ছেলে হত্যা মামলা প্রত্যাহার না করায় বাদী মা নাছিমা আক্তারের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে আসামিদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার আদালতে একটি মামলা করেছেন নাছিমা আক্তার। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে সেটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন, মনিরামপুর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা ফজলুর রহমান, তার ছেলে ফয়সাল আহমেদ নয়ন, স্ত্রী বিলকিস বেগম, মেয়ে দোলা, কনা ও জয়পুর গ্রামের নজির সরকারের ছেলে আবু মুরাদ।  মামলার বাদী নাছিমা আক্তার চন্ডিপুর গ্রামের মো. আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি যশোর শহরের শহীদ মশিউর রহমান সড়কের বাসিন্দা।
নাছিমা আক্তারের অভিযোগ, আসামিরা তাদের জ্ঞাতিগোষ্ঠী। তারা তার স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক ভোগ দখল করে আসছেন। প্রতিবাদ করায় তারা তার স্বামীকে ইতোপূর্বে কয়েকবার কৌশলে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামি ফয়সাল আহমেদ নয়ন ও আবু মুরাদ মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত তার বড় ছেলে ওয়াসেক সাত্তার আবিরকে ঢাকার হাতিরঝিল ব্রিজ এলাকায় পরিকল্পিতভাবে নির্মমভাবে হত্যা করেন। এ ঘটনায় দায়েরকরা একটি মামলা ঢাকা মূখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে বিচারাধীন আছে। উল্লিখিত আসামিরা মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছেন। গত ১৯ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে নাছিমা আক্তার নিজ প্রাইভেটকারে করে যশোর শহরের বাড়ির গলির ভেতর পৌঁছালে আসামিরা আচমকা আক্রমণ করেন। গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে তারা তাকে বেধড়ক মারধরও করেন। তার গলায় থাকা ২ ভরি ওজনের সোনার হার ছিনিয়ে নেন। এছাড়া তার গাড়িটি ভাঙচুর করা হয়। পরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে রক্ষা করেন বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন নাছিমা আক্তার।