ঝিনাইদহে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ॥ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন শান্তি মন্ডল হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ শওকত হোসাইন এ দন্ডাদেশ দেন। একই সাথে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন। আরেকটি বিস্ফোরন আইনের মামলায় প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। দন্ডিতরা হলো সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের শান্তি হোসেন, দইঝুড়ি গ্রামের আব্দুল করিম, লাভলু, কাশিমপুর গ্রামের আবু জাহিদ মনি, চোরকোল গ্রামের মিজানুর রহমান ওরফে টাক মিজান, হাজীডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিদ খলিল ওরফে ইদ্রিস ওরফে ইদু, মুকুল ও জালালপুর গ্রামের নাসির। এ মামলায় অপর আসামী গান্না ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মালিথার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। মামলা চলাকালীন মশিয়ার রহমান ও উজ্জল হোসেন মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ৭ জুলাই গান্না বাজার থেকে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিল তৎকালীন ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক জাকির হোসেন মন্ডল ওরফে শান্তি মন্ডল। পথে কাশিমনগর ব্রীজের ওপর পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য বোমা হামলা চালায়। এসে সে গুরুতর আহত হয়। সেখানে থেকে তাকে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে অবস্থান অবনতি হলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১১ জুলাই সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম মালিথা বাদি হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে হত্যা ও বিস্ফোরক ধারায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ১১ জনকে আসামী করে চার্জশিট দাখিল করে। এর মধ্যে গান্না ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মালিথাও ছিলেন। মামলা চলাকালে আটক আসামীদের মধ্যে ৩ জন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্ধী দেয়। চেয়ারম্যান নাসির ছিলেন ১৫৪ ধারায় আসামীদের জবানবন্দির আসামী। মোট ১৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত সোমবার এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন। মামলায় ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদেন্ডর আদেশ হয় হয়। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ৭ বছর করে কারাদন্ড দেন বিচারক।