নড়াইল আ.লীগের সম্পাদক নিলুর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ সংসদ সদস্য মুক্তির

0

নড়াইল অফিস ॥ নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলুসহ তিন নেতার বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্য ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। রোববার দুপুরে কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য ও কালিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য কবিরুল হক মুক্তি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হারুন অর রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক ও কালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ ঘোষ মিলে বিভিন্ন ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীদের কাছ থেকে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন। ইউনিয়নগুলোতে প্রকৃত নেতাকর্মীদের দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে বিএনপি-জামায়াতের লোকদের মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে তালিকা পাঠানো হচ্ছে। গত শনিবার বিকেলে কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় হট্টগোল প্রসঙ্গে কবিরুল হক মুক্তি বলেন, ‘দলের সদস্য হিসেবে আমি মিটিংয়ে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে যারা আওয়ামীলীগ নেতা কৃষ্ণপদ ঘোষকে মোটা অংকের টাকা দিয়েও মূল্যায়ন পাচ্ছেন না, তারাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বর্ধিত সভা পন্ড করে দিয়েছেন।’ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু বর্ধিত সভায় ফাঁকা গুলিবষর্ণের অভিযোগ করলেও কবিরুল হক মুক্তি বলেন, ‘এ ধরণের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বিষয়টি প্রশাসনসহ নেতাকর্মীরা অবগত আছেন।’ সংসদ সদস্য মুক্তি আরো বলেন, ‘নিজাম উদ্দিন খান নিলুকে আমি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বা প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করিনা। বরং তার কারণেই নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগে বিভক্তি শুরু হয়েছে। তিনি (নিলু) আওয়ামী লীগের সুযোগ-সুবিধা নিলেও দুঃসময়ে কখনোই মাঠে ছিলেন না। এছাড়া অপরের জমি দখল করে নিজের বাড়ি গড়ে তুলেছেন। শিক্ষা সনদও জাল করেছেন।’ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মোল্যা এমদাদুল ইসলাম, কালিয়া পৌরসভার সাবেক তিন মেয়র এমদাদুল হক টুলু, একরামুল হক টুকু ও ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন, কালিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ইব্রাহিম শেখ, কালিয়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক খান রবিউল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক আশিষ কুমার ভট্টাচার্য প্রমুখ। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও মনগড়া অভিযোগ করেছেন। দলীয় প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা মনোনয়নপ্রাপ্তদের পত্রে স্বাক্ষর করে থাকেন। শুধুমাত্র দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের একটি তালিকা আমরা প্রেরণ করে থাকি। দলের জেলা শাখার সভাপতি-সম্পাদক ও উপজেলা শাখার সভাপতি-সম্পাদক এতে যৌথ স্বাক্ষর করেন।