কুষ্টিয়া হাসপাতালে ২৮ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ২০৬ শিশু

0

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা॥ কুষ্টিয়ায় শিশুদের জ্বর, ঠান্ডাজনিত রোগের পাশাপাশি ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ২৮ শয্যার বিপরীতে বর্তমানে ২০৬ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। শয্যা সংকটের কারণে অধিকাংশ শিশুর ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে। এদিকে জনবল সংকট ও অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।
কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিনই জেলা এবং জেলার বাইরে থেকে শিশুরা ভিড় জমাচ্ছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে আক্রান্ত রোগীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। শয্যা সংকটের কারণে এক শয্যায় গাদাগাদি করে একাধিক রোগীকেও চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। রোগীদের ভিড়ে শিশু ওয়ার্ডে তিল ধারণের জায়গা নেই। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে জ্বর, ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে গেছে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে রোগীর সংখ্যা অনেক গুণ বেড়ে গেছে। ডা. এম এ মোমেন বলেন, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ২৮ শয্যার বিপরীতে এখন ২০৬ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। সেবা দিতে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
রোববার সকালে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডের প্রবেশ পথে শতশত রোগীর অভিভাবক ও স্বজনরা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন। ওয়ার্ডের ভেতরেও ভিড়। ভিড়ের মধ্যেই চিকিৎসকরা শিশু রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। সোমবার হাসপাতালে বারান্দায় গিয়ে দেখা যায়, মায়ের কোলের উপর রেখেই দেওয়া হচ্ছে স্যালাইন এবং ইনজেকশন। পর্যাপ্ত ওষুধ থাকলেও জনবল ও জায়গার অভাব রয়েছে। শিশু ওয়ার্ডের কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স আফরোজা পারভীন বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই এখানে রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। আর রোগীর লোকজন সবাই চায় তাদের শিশুকে আলাদাভাবে ভালো সেবা দেওয়া হোক। কিন্তু কেউ বুঝতে চায় না মাত্র ছয়জন সেবিকা কিভাবে এত রোগীর চিকিৎসা সেবা দেবে। এত কিছুর পরও সর্বোচ্চ সেবার দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে রোগীর সংখ্যা এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এস. এম. নাজিম উদ্দিন জানান, এভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়বে।