‘সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমিয়ে অর্থমন্ত্রী গরিবের সংসারে হাত দিয়েছেন’

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ‘সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোয় মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও স্বল্পআয়ের মানুষের আয় কমবে। বিশেষ করে অবসরে যাওয়া মধ্যমসারির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহে সংকটে পড়বে এবং সমাজে এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হবে।’ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সভায় দলের নেতারা এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কমরেড রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে পার্টি অফিসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার প্রস্তাবে বলা হয়, এর আগে সঞ্চয়পত্রের উৎসে কর বৃদ্ধি করেছে সরকার। এখন আবার সাধারণ মানুষের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে সুদহার কমিয়ে তাদের আয় সংকুচিত করা হলো। দেশে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি, অর্থনৈতিক লুটপাট, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে অর্থমন্ত্রী গরিবের সংসারে হাত দিয়েছেন। সেখানে আরও বলা হয়, বিগত সংসদে সঞ্চয়পত্রের উৎসে কর বাড়ানোর প্রস্তাব করে অর্থমন্ত্রী তার নিজ দলীয় সদস্যদের তোপের মুখে পড়েছিলেন। এবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর বিষয়টি সংসদকে পাশ কাটিয়ে হঠাৎ করে ঘোষণা দিলেন। সাধারণ মানুষের নিরাপদ বিনিয়োগের ব্যবস্থা সংকুচিত করলে বিভিন্ন ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান অধিক মুনাফার ফাঁদে ফেলে জনগণকে সর্বস্বান্ত করার সুযোগ নেবে। প্রস্তাবে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভার অন্য একটি প্রস্তাবে সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠনগুলোর ১১ জন সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলা হয়, এটি নজিরবিহীন ও অনাকাঙ্ক্ষিত। ব্যাংক হিসাব তলবের মাধ্যমে সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণে রাখার অপকৌশল নেওয়া হয়েছে। দলের পলিটব্যুরোর সদস্যরা আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা ক্ষমতার অংশীজনদের মনঃপুত হয়নি। পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন আনিসুর রহমান মল্লিক, সুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, কামরূল আহসান, এনামুল হক এমরান, হাজী বশিরুল আলম, নজরুল ইসলাম হক্কানী প্রমুখ।