বারোবাজার ফুলবাড়ির ভৈরব নদের ভাঙা ব্রিজটি সংস্কার হল না,দুর্ভোগ চরমে

0

শিপলু জামান, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) ॥ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দু’বছর আগে ভেঙে যায় ফুলবাড়ি ব্রিজের একাংশ। সে সময় ব্রিজের দু’ধারে লাল কাপড় টানানো ছাড়া হয়নি কোনো সংস্কার। ফলে এর পাশ দিয়েই বানানো হয় বাঁশের সাঁকো। এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে সেটিও। তবুও ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হচ্ছেন মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বারোবাজার ফুলবাড়ি এলাকায় ভৈরব নদের ওপর নির্মিত হয় ব্রিজটি। এই ব্রিজ দিয়ে ফুলবাড়ি, ঝনঝনিয়া, কাস্টভাঙা, বেলে ঘাটসহ বিভিন্ন গ্রাম এবং যশোরের চৌগাছা উপজেলার মানুষ বারোবাজার, কালীগঞ্জ এলাকায় যাতায়াত করতেন। পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্যও ব্রিজটি ব্যবহার হতো। এছাড়া দু’পাশের কৃষকের ক্ষেতের সবজি যশোরের চুড়ামনকাঠিসহ বিভিন্ন বাজারে পৌঁছাতেও ব্যবহার করা হতো ব্রিজটি। কিন্তু দু’বছর আগে ভৈরব নদের এই অংশে খনন করা হয়। বর্ষায় পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় ¯্রােতে ভেঙে পড়ে যায় ব্রিজের একাংশ। কিছুদিন পর ব্রিজের পাশেই কোনোরকম একটি সাঁকো তৈরি করা হয়। সেটিও ভেঙে গেছে। এ অবস্থায় গত একমাস আগে রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে ব্রিজ পার হওয়ার সময় নদীতে পড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে সাবধানতার সাথে কোনরকমে মানুষ পার হলেও বন্ধ রয়েছে যানবাহন ও ভ্যান-রিকশা চলাচল। এ পথ দিয়ে ট্রাক্টর নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে চাষাবাদ করতে যাওয়া ইসরাইল হোসেন জানান, এই ব্রিজ ভেঙে থাকার কারণে পার্শ্ববর্তী ঝনঝনিয়াসহ অন্যান্য গ্রামে যেতে অনেক পথ ঘুরতে হয়। ফলে সময় ও অর্থের ব্যয়ও হয় অনেক বেশি। ঝনঝনিয়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, তার বাড়ি থেকে বাজার মাত্র দুই কিলোমিটার। কিন্তু এই ব্রিজ ভাঙার কারণে পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। ক্ষেতের কাঁচা তরকারি বারোবাজার ও যশোরের চুড়ামনকাঠি বাজারে নিতে অনেক সমস্যা হয়। তাই ব্রিজটি যদি দ্রুত মেরামত করা হয় কিংবা নতুন তৈরি করা হয়, তাহলে তাদের অনেক দুর্ভোগ লাঘব হতো। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী রুহুল ইসলাম জানান, চলাচলের অযোগ্য ব্রিজটির অচিরেই পুনঃর্র্নিমাণের কাজ শুরু হবে। টেন্ডার হয়েছে। ব্রিজটি পরিদর্শন করে ওয়ার্কঅর্ডার দেওয়া হবে।