৩ বছর পর ফিরছেন ভারতে পাচার হওয়া ৩৬ বাংলাদেশি

0

বিশেষ প্রতিনিধি॥ দালালের মাধ্যমে অবৈধ পথে ভারতে পাচার হওয়া ৩৬ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। এরই মধ্যে হস্তান্তরের বিষয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হবে। পরে পাচার প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা এনজিও সংস্থা ‘জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার’ এসব নারী-পুরুষ, শিশুদের আইনি সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগও নেওয়া হবে। জানা যায়, এসব নারী-পুরুষ ও শিশুর বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়। তাদের সবার বয়স ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। দু-তিন বছর আগে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তাদের ভারতে পাচার করা হয়। উদ্ধারের তালিকায় থাকা ৩৬ নারী-পুরুষ ও শিশু হলেন কুমিল্লার সাহান হাওলাদার, খুলনার আনন্দ মণ্ডল, মুস্তাফিজুর রহমান, শিমুল শেখ, আবুল হাসান ও মোস্তফা গাজী, যশোরের আয়শা শেখ, জেসমিন বিবি, রুহুল হোসেন, রাকিব শেখ, শাকিল শেখ ও শাকিব হাসান, গোপালগঞ্জের জোবায়ের সরদার, বাগেরহাটের লাবনি আক্তার, রহিমা খান, রাকিব, শাহিল ফারাজি, আবু সালে শেখ, শহিদুল, রাকিব হাওলাদার, মুন্সিগঞ্জের আরিন বাইদা, সাতক্ষীরার মাজেদা খাতুন, সুশান্ত মন্ডল, হালিমা খাতুন, ঠাকুরগাঁওয়ের নিত্যনন্দ রায়, রাজবাড়ির প্রিয় বালা, সুনামগঞ্জের আমেনা খাতুন, পিরোজপুরের মুক্তা আক্তার, নড়াইলের নিশা আক্তার, আবু বক্কর, বিদি খাতুন, রাজশাহীর রোমী খাতুন, ফরিদপুরের নারগিস খাতুন, বরিশালের জুয়েল সরদার ও কুড়িগ্রামের শাহজালাল।
জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের জ্যেষ্ঠ প্রোগ্রাম কর্মকর্তা মুহিত হোসেন জানান, সংসারে অভাব অনটনের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময় ভালো কাজের কথা বলে এসব নারী-পুরুষ ও শিশুকে ভারতে পাচার করে দালালরা। পরে তাদের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা হয়। ভারতীয় পুলিশ পাচারকারীদের কাছ থেকে তাদের উদ্ধার করে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে তাদের আশ্রয় হয় ভারতীয় এনজিও সংস্থার শেল্টার হোমে। পরে উদ্ধার হওয়ারা বাংলাদেশি কিনা তা যাচাই করা হয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে এসব নারী-পুরুষ এবং শিশুর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, এরই মধ্যে তারা পাচার হওয়াদের দেশে ফেরার বিষয়ে চিঠি পেয়েছেন। তারা বাংলাদেশে আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।