সাংবাদিক নির্যাতনে শুরুতেই প্রশ্নবিদ্ধ তালেবানি শাসন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিক্ষোভের খবর জোগাড় করতে গিয়ে তালেবানের হাতে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতিশ্রুত ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা’। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবর অনুসারে, গত বুধবার (৮সেপ্টেম্বর) সকালে কাবুলে নারীদের বিক্ষোভের খবর জোগাড় করতে গিয়ে তালেবানের হাতে বন্দি হন ইতিলাতরোজ পত্রিকার দুই সাংবাদিক তাকি দারিয়াবি ও নেমাতুল্লাহ নাকদি।


খবর পেয়ে তাদের সহকর্মী আবির শায়গান ও লুতফালি সুলতানি পত্রিকাটির সম্পাদক কাধিম কারিমির সঙ্গে ছুটে যান স্থানীয় থানায়। তাদের অভিযোগ, সেখানে পৌঁছাতেই তালেবান যোদ্ধারা তাদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়, থাপ্পড় মারে ও মোবাইল ফোনসহ সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র কেড়ে নেয়। শায়গান বলেন, কারিমি কথাও শেষ করতে পারেননি, তার আগেই এক তালেবান সদস্য তাকে চড় মারেন ও বের হয়ে যেতে বলেন। সাংবাদিক পরিচয় জানার পর তাদের আরও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বর্বর নির্যাতন


শায়গান জানান, তাদের তিনজনকে একটি ছোট কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই ১৫ বন্দিকে রাখা ছিল, যাদের মধ্যে রয়টার্স ও আনাদোলু এজেন্সির দুই সাংবাদিকও ছিলেন। এসময় তারা অন্য একটি কক্ষে দারিয়াবি ও নাকদিকে নির্মম নির্যাতনের খবর জানতে পারেন। বন্দিরা তাদের বলেছেন, আমরা ওদের চিৎকার ও কান্না শুনতে পাচ্ছিলাম। এমনকি তারা নারীদের চিৎকারও শুনেছেন। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিতে বাকি অংশ আরও পরিষ্কার হয়ে যায়। ছবিতে দুই সাংবাদিকের সারা শরীরে মারাত্মক মারধরের চিহ্ন দেখা গেছে। শায়গান বলেন, এত বেশি মারধর করা হয়েছিল যে, তারা হাঁটতেও পারছিল না। তাদের বন্দুক দিয়ে মারা হয়েছে, লাথি মেরেছে, তার দিয়ে পিটিয়েছে, থাপ্পড় মেরেছে। তিনি জানান, মারধরের মাত্রা এত বেশি ছিল যে, ব্যথায় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন সাংবাদিক নাকদি ও দারিয়াবি। এদিন শুধু সাংবাদিকদেরই নির্যাতন করা হয়নি। শায়গানের দাবি, তাদের সেই কক্ষে তালেবান যোদ্ধারা এক বিক্ষোভকারীকে রেখে যায়। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, তাকেও নির্যাতন করা হয়েছে।