বাগেরহাট হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগী,হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা ॥ বাগেরহাটে জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন দুই শতাধিক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। গত এক মাসে ৬ হাজারের বেশি শিশু চিকিৎসা নিয়েছে সদর হাসপাতাল থেকে। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডে ২৪ শয্যার বিপরীতে চিকিৎসাধীন আছে ৩৪টি শিশু। হঠাৎ হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। প্রতিদিন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে বাগেরহাট সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে যাচ্ছেন অভিভাবকরা। হাসপাতালের ধারণক্ষমতার ৩ থেকে ৪ গুণ রোগী ভর্তি হওয়ায় শয্যা সংকটও দেখা দিয়েছে। ফলে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে অনেকে। বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড থেকে সাত মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে আসা হেলেনা বেগম জানান, ‘পাঁচ দিন আগে সর্দি-কাশিতে বাচ্চা আক্রান্ত হলে স্থানীয় ডাক্তারদের কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে খাওয়াই। কিন্তু না কমায় বুধবার সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।’ ৫ মাস বয়সী শিশুর বাবা জানান, ‘৪ দিন আগে ঠাণ্ডাজনিত কারণে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার জ্বর ও ঠাণ্ডা ছিলো। পরে জানতে পারি তার নিউমোনিয়া হয়েছে।’ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের নার্সরা জানান, রোগীদের চাপ অনেক বেশি। মেঝে ও বারান্দায়ও চিকিৎসা নিচ্ছে অনেকে। কষ্ট হলেও আমরা তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। রোগীর পাশাপাশি তাদের স্বজনদের চাপও বেশি। ফলে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাগেরহাট সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ জুনিয়র কনসালট্যান্ট শিহান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। হঠাৎ করে আবহাওয়ার পরিবর্তন, বৃষ্টি ও গরম হওয়ায় বাচ্চারা দ্রুত ঘেমে যায়। ওই ঘাম থেকে সংক্রমণটা হয় সবচেয়ে বেশি। বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মিরাজুল করীম বলেন, শিশু রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদেরকে বেগ পেতে হচ্ছে। মূলত আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। হঠাৎ আক্রান্তের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। গত এক মাসে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রায় ৬ হাজার শিশু চিকিৎসা নিয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডে ২৪ শয্যার বিপরীতে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে ৫৪ শিশু। এ অবস্থায় অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি শিশুদের প্রতি বাড়তি যতেœর আহ্বান জানান তিনি।