খেলার খবর

0

বাংলাদেশের সিরিজ জয় কিংবা নিউ জিল্যান্ডের সমতা
স্পোর্টস ডেস্ক॥ উইকেট পেলেও মনে হয় এতটা খুশি হন না তাসকিন আহমেদ। খ্যাপাটে দৌঁড়ে ছুটতে থাকা পেসারকে আটকাতেই পারছিলেন না কেউ। অমন উচ্ছ্বাসের কারণ, তার দল গোল করেছে! মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার দুপুরে গা গরমের ফুটবল ম্যাচে দেখা গেল এমন গোল আর হাসি-মজার জোয়ার। কিন্তু অনুশীলনের এই প্রাণের উৎসব কতটা দেখা যাবে মূল লড়াইয়ে? এক ম্যাচ আগেও সংশয়ের জায়গা খুব একটা ছিল না। কিন্তু তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউ জিল্যান্ড এমনভাবে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং, সিরিজের আবহও তাতে বদলে গেছে পুরোপুরি। মিরপুরের এই মন্থর ও টার্নিং উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিতে পারলেও নিউ জিল্যান্ড ঠিকই দেখিয়েছে তাদের ধার, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ও শক্তির গভীরতা। খর্বশক্তির দল নিয়ে এসেও তারা শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। সেই চ্যালেঞ্জের নতুন অধ্যায় আজ বুধবার। এই ম্যাচ জিতলে সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। তবে নিউ জিল্যান্ড এই বার্তা দিতে পেরেছে, সিরিজে ২-২ সমতা ফেরানো তাদের পক্ষে খুবই সম্ভব। বাংলাদেশকে তাই কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে।


আগের ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং। লক্ষ্য ছিল ১২৯, উইকেট মন্থর হলেও যা খুব কঠিন নয়। বিশেষ করে, ক্যারিয়ারজুড়ে যারা মিরপুরের এই মাঠেই খেলছে, সেই ব্যাটিং লাইন আপের জন্য তো এখানকার রসায়ন বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথাই নয়। কিন্তু নিউ জিল্যান্ডের অনভিজ্ঞ স্পিনারদের সামনেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং।
শুরুর দিকে দ্রুত রান তুলতে গিয়েই সেদিন হয় মূল বিপত্তি। বাংলাদেশের ব্যাটিং পরামর্শক অ্যাশওয়েল প্রিন্সের মতে, দলের ব্যাটিং সামর্থ্যে কোনো সমস্যা নেই। তিনি গুরুত্ব দিলেন, উইকেটের ধরন বুঝে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার দিকে। “জিম্বাবুয়েতে আমরা খুব ভালো রান তাড়া দেখেছি এই দলের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজেও একটি ম্যাচে আফিফ ও সোহান দারুণ জুটি গড়ে ম্যাচ জিতিয়েছে। দলে এমন ব্যাটসম্যান আছে, যারা প্রান্ত বদলাতে পারে এবং বাউন্ডারি মারতে পারে। এমন ব্যাটসম্যানও আছে, যারা প্রয়োজনে ইনিংসের শেষ দিকে ওভারপ্রতি ৯-১০ রান তুলতে পারে, যদি উইকেট সহায়ক হয়।” “আমার মনে হয়, দুই ধরনের ব্যাটসম্যানদের ভালো সমন্বয় আছে আমাদের। তবে প্রতিটি উইকেটই ভিন্ন। তাই গুরুত্বপূর্ণ হলো, নির্দিষ্ট দিনে উইকেট পড়তে পারা এবং উইকেটের ধরন অনুযায়ী নিজের খেলা মানিয়ে নেওয়া।” এই মানিয়ে নেওয়ার কাজটি দারুণভাবে করতে পেরেছে নিউ জিল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে মাত্র ৬০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর খুব দ্রুতই তারা বুঝে নেয়, এই উইকেটে কীভাবে ব্যাটকরতে হবে। দ্বিতীয় ম্যাচেই তাদের ব্যাটিংয়ে দেখা যায় বড় পরিবর্তন। সেদিন শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করে তারা হেরে যায় একটুর জন্য। সবশেষ ম্যাচে আবার তারা প্রমাণ রাখে এখানকার উইকেটে মানিয়ে নেওয়ার। হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেলের জুটি উইকেট ও পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে দলকে গড়ে দেয় জয়ের ভিত। নিউ জিল্যান্ডের এই সফরের কোচ গ্লেন পকন্যাল কোচ হিসেবে প্রথম জয়টি পেয়ে যেমন উচ্ছ্বসিত, তেমনি দারুণ গর্বিত দলের ক্রিকেটারদের নিয়েও। এখন তিনি আশায় চতুর্থ ম্যাচ জিতে সমতা ফেরানোর। “এটা দারুণ অনুভূতি, কারণ ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করছে এবং দলে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে, কীভাবে আমরা খেলতে চাই। যা আলোচনা হয়েছে, সবকিছু বাস্তবায়ন করতে পারা দারুণ তৃপ্তির। ছেলেদের নিয়ে আমি গর্বিত যে ওরা পেরেছে আগের ম্যাচে, কারণ এখানে খেলা খুব চ্যালেঞ্জিং। এই ছেলেরা দেখিয়েছে, সবকিছু একসঙ্গে মেলে ধরতে পারলে, যে কোনো কিছুই সম্ভব।” “এখন একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে আমাদের সামনে। কালকে আমরা ২-২ করে ফেলতে পারি। এরপর শেষ ম্যাচে দেখা যাবে, কী হয়। ছেলেরা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।” মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে যথারীতি বিকেল চারটায় শুরু ম্যাচ।

এবার কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন মাশরাফীর
স্পোর্টস ডেস্ক॥ অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ এ সিরিজ হারানোর পর বাংলাদেশ এখন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলছে। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগাররা এগিয়ে ২-১ ব্যবধানে। বুধবার সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ। তবে মাঠের ক্রিকেট নিয়ে টাইগার ভক্তদের মধ্যে যত না আলোচনা, মাঠের বাইরের ক্রিকেট নিয়ে বরং তার চেয়ে উৎকণ্ঠা অনেক বেশি। দেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রিকেট নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করে আসছেন। যে ধারাবাহিকতায় এবার জাতীয় দলের কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মাশরাফী।
নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ডে কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিশাল এক স্ট্যাটাস নিয়েছেন মাশরাফী। যার শুরুটা করেছেন তিনি এভাবে, ‘একটা কোচ যখন নিয়োগ দেওয়া হয়, তার প্রসেস আসলে কি থাকে সেটা জানার খুব ইচ্ছে আমার।’ এরপরই মাশরাফী বিভিন্ন কোচদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। লিখেন, ‘এ যাবৎকালে প্রায় ৯/১০ জন কোচের সাথে কাজ করেছি আমি। প্রত্যেকটা কোচ তার নিজের মতো করে কাজ শুরু করে, যেটা করাটাও স্বাভাবিক। কারণ একেকজনের কাজের ধরন একেকরকম। কিন্তু সব সময় দেখেছি, প্রত্যেক কোচ তার নিজস্ব একজন বা দুজন প্রিয় খেলোয়াড় বানিয়ে নেয়। পরে সিলেক্টর, ক্যাপ্টেন বা অন্য কেউ তাকে আর কিছুই বোঝাতে পারে না। বরং সম্পর্কগুলো জটিল হতে থাকে।’ ‘ওই পছন্দের জন্য সে আবার দুজনকে এমন অপছন্দ করা শুরু করে যে, তাদের আর দেখতেই পারে না। একপর্যায়ে এমন জিদ শুরু করে যে, প্রয়োজনে চাকরি ছেড়ে দেব, এমন কথা প্রকাশ্যেও শুনেছি কয়েকবার কোচের মুখে।’
এ প্রসঙ্গে মাশরাফী তার অভিমত তুলে ধরেন, ‘আমার পয়েন্ট হলো, কোচের পছন্দ কিছু খেলোয়াড় হতেই পারে। সেটা সব কোচেরই হয়। অন্যান্য দেশেও হয়। তবে সেখানে কখনো সেটা প্রকাশ্যে বুঝতে দেয় না, অনুমান করতে হয়। কারণ দলের সেরা ৩/৪ জন খেলোয়াড়ই শুধু ম্যাচ জেতায় না। জেতালেও আপনি একজনের জন্য আরেকজনকে ছোট করতে পারেন না।’ মাশরাফী আরো লিখেন, ‘দর্শক বা সাংবাদিক অনেক কিছু লিখতেও পারে, বলতেও পারে। যেটা একদম নরমাল ব্যাপার। কোচকে বলা হয় ফাদার অফ দ্য সাইড। সে সবাইকে দেখে রাখবে, প্রয়োজনে কঠোর হবে। আবার দলের স্বার্থে যাকে প্রয়োজন তাকে ব্যবহার করবে। তার সবকিছুই হতে হবে পজিটিভ। কারো প্রতি কঠোর, কারো প্রতি নমনীয়, এটা এক রকমের বৈষম্যতে রূপ নেয় আমাদের দেশে। যা গোছানো দলকে অগোছালো করে ফেলে।’ ‘একপর্যায়ে তারা (বিদেশি কোচরা) নিজেদের দেশে, না হলে আইপিএল বা আরো ভালো কোনো অফার পেয়ে চলে যাবে। কারণ এত দিনে সে আমাদের দেশের ক্রিকেটকে নিয়ে অনেক এক্সপেরিমেন্ট করে নিজের অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছে, নিজের প্রোফাইলও ভারী করেছে। বেতন তো নিয়েছে মাসে ১২/১৫ লাখ টাকা আর আমাদের কোচরা না খেয়ে মরে। গালিও দেখি আমাদের কোচরাই হজম করে।’ ‘পরে উনারা চলে গেলে আমরা পড়ি বিপদে। আবার নতুন কোচ, নতুন পরীক্ষা, নতুন দাবি মেটানো। এভাবেই চলছে বাংলাদেশে কোচদের যাওয়া-আসা।’ কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে মাশরাফীর লিখেন, ‘কোচ নিয়োগের সময় যে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়, সেখানে আসলে তাকে কি প্রশ্ন করা হয়? বা আদৌ কি করা হয় কোনো প্রশ্ন? নাকি শুধু জানতে চাওয়া হয়, ‘তোমার কি করার ইচ্ছা?’ হয়তো তখন সে কিছু পয়েন্ট তুলে ধরে। ওখান থেকে নতুনত্ব কিছু পেলে চিন্তা করা হয়, ‘দারুণ কোচ, কী সুন্দর পরিকল্পনা, এর মতো কোচই হয় না।’ মাশরাফীর চোখে, ‘আমার তো মনে হয়, ভুল ওখানেই হয়ে যায়। কারণ, মানুষকে বোঝাতে আমরা সব সময় হাই প্রোফাইল কোচ খুঁজি, যা পরে আর কোনো কাজে আসে না। আমাদের প্রয়োজন, যে আমাদের ক্রিকেট ফলো করে বা আমাদের ম্যাক্সিমাম খেলোয়াড়কে নিয়ে স্টাডি করে এসে ইন্টারভিউ দিচ্ছে (এ রকম কোচ)। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা নিয়ে আসা। তা না হলে তো সে বুঝবেই না, একজন সাকিব, তামিম, মুশফিক, রিয়াদ তৈরি করতে কত দিন লেগেছে, বা অতীতে তাদের অবদান কী, একজন মোস্তাফিজ কীভাবে উঠে এসেছে।’ মাশরাফীর কথায় আক্ষেপও ঝড়ে, ‘বারবার বলেছি, আবারো বলছি, দলের আগে কখনোই কোনো খেলোয়াড় হতে পারে না। ভালো না করলে বাদ পড়তেই হবে। অফ ফর্ম সব খেলোয়াড়ের জীবনেই যায়। বাদও পড়ে। কিন্তু ম্যানেজমেন্ট থেকে অপমানিত শুধু আমাদের দেশেই বেশি হয়।’ ‘পারফর্ম না করলে বাদ দেবেন স্বাভাবিক। আবার তাকে তো সহযোগিতা করতে হবে, কীভাবে ফর্মে আনা যায় বা তাকে মেন্টালি কীভাবে সাপোর্ট করা যায়। কোনোভাবেই আপনি বুঝতে দিতে পারেন না যে, আপনি তাকে আর আপনার সময়কালে দেখতে চান না। এটার কারণ একটাই, কোনো কোচই আমাদের দেশে কাজ করার আগে আমাদের দেশের ক্রিকেটের ফলোয়ার থাকে না। চাকরির জন্য আসে, শেষ হলে চলে যায়।’ তাই মাশরাফীর প্রস্তাব, ‘আমার মনে হয়, হাই প্রোফাইল কোচ নয়, আমাদের প্রয়োজন আমাদের কোচ, বাংলাদেশের কোচ।’

পিএসজিকে রোনালদোর সতর্কবার্তা
স্পোর্টস ডেস্ক॥ অনেক দিন ধরেই চ্যাম্পিয়নস লিগকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে ফরাসি ক্লাব পিএসজি। তারই অংশ হিসেবে ২০১৭ সালে নেইমারকে দলে ভেড়ায় দলটি। ২০১৯-২০ মৌসুমে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালেও উঠে তারা। যদিও বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হতে হয়। এ মৌসুমে প্যারিসের ক্লাবটি দলে ভিড়িয়েছে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসিকে। তবে মেসির অন্তর্ভুক্তি মানেই যে চ্যাম্পিয়নস লিগ নিশ্চিত, এমনটা মনে করেন না ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিও। এক সাক্ষাৎকারে পিএসজির প্রতি সতর্কবার্তাই থাকল রোনালদোর, ‘কে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতবে এখনই এটা বলা তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত গেলে ছবিটা ফোটে উঠতে থাকে। পিএসজি ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে কথা বলা আর খেলা ভিন্ন জিনিস।’ রোনালদোর মতে, ‘মাঠের পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করে এমন অনেক বিষয় রয়েছে। আমি রিয়াল মাদ্রিদে পাঁচ মৌসুমের মতো খেলেছি। গ্যালাক্টিকোসদের হয়ে আমি কখনো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিনি।’ যোগ করেন, ‘জয় কখনো আপনা-আপনি আসবে না। এমনকি আমার দলে যদি সেরা খেলোয়াড়ও থাকে। পিএসজির ক্ষেত্রেও কথাটা প্রযোজ্য।’

করোনায় সবচেয়ে বেশি বয়সী ক্রিকেটারের মৃত্যু
স্পোর্টস ডেস্ক॥ দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার জন ওয়াটকিন্স মারা গেছেন। ৯৮ বছর বয়সে ডারবানে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর আগে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে বেশি বয়সী ক্রিকেটার। মৃত্যুর ১০ দিন আগে কভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ওয়াটকিন্স। এই আক্রমণাত্মক মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং মিডিয়াম পেসারের টেস্ট অভিষেক হয় হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে। ১৯৪৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জোহানেসবার্গে প্রথম টেস্ট খেলতে নামেন ওয়াটকিন্স। ম্যাচে অনুকরণীয় নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বীকৃত ছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারে ১৫টি টেস্ট খেলে ১৯৫৭ সালে অবসর নেন ওয়াটকিন্স। ব্যাট হাতে তিন ফিফটিতে তার রান ৬১২। ২৮.১৩ গড়ে রান দিয়ে শিকার করেছেন ২৯ উইকেট। স্লিপে ফিল্ডিংয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন ওয়াটকিন্স। তার ক্যারিয়ারে স্মরণীয় হয়ে আছে ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফর। অজিদের বিপক্ষে ওই সিরিজে ৪০৮ রান ও ১৬ উইকেট নেন তিনি। এমসিজিতে সিরিজের শেষ টেস্টে দুই ইনিংসে ৯২ ও ৫০ রান করেন ওয়াটকিন্স। যার মধ্যে তার ক্যারিয়ার সেরা স্কোর ৯২। এই টেস্টে বল হাতে ৬ উইকেট নিয়ে জয় এনে দেওয়ার পাশাপাশি দ.আফ্রিকাকে সিরিজে সমতায় ফেরান তিনি। টেস্টে তার ইকোনমি রেট ১.৭৪। যা টেস্টে ষষ্ঠ সেরা ইকোনমি রেট। ওয়াটকিন্সের বিশিষ্ট ক্যারিয়ার রয়েছে নাটালে। ১৯৪৭-৪৭ থেকে ১৯৫৭-৫৮ মৌসুম পর্যন্ত ৫০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ২৪.৮০ গড়ে ২১৫৮ রান করেছেন তিনি। বল হাতে নিয়েছেন ৯৬ উইকেট।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ স্থগিত হওয়ায় ফিফার দুঃখ প্রকাশ
স্পোর্টস ডেস্ক॥ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মুখোমুখি লড়াই দেখতে মুখিয়ে থাকে কোটি কোটি ফুটবল অনুরাগী। ব্যতিক্রম ছিল না রবিবার রাতেও। তবে এদিনের বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচটি কিক অফের কয়েক মিনিট পরই স্থগিত হয়ে যায়। যে জন্য সোমবার এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে ফিফা। রবিবার সাও পাওলোর অ্যারেনা করিন্থিয়ানসে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ শুরু হলেও আর্জেন্টিনার তিন ফুটবলারকে ধরতে মাঠে ঢুকে পড়েছিল ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। আগে থেকেই চার খেলোয়াড়ের ম্যাচে অংশ নেওয়া নিয়ে আপত্তি ছিল তাদের। যাদের তিনজনই ছিলেন শুরুর একাদশে। তারা মনে করছে ওই খেলোয়াড়রা কোয়ারেন্টাইন বিধি ভঙ্গ করেছেন। এ ঘটনায় আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের সঙ্গে ব্রাজিল স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের হাতাহাতিও হয়। একপর্যায়ে মাঠ ছেড়ে যায় আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা। প্রায় এক ঘণ্টা পর ম্যাচ স্থগিতের ঘোষণা আসে। সাউথ আমেরিকান ফুটবলস গভর্নিং বডি- কনমেবল জানিয়েছিল, রেফারি এবং ম্যাচ কমিশনার তাদের রিপোর্ট ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে জমা দেবেন। তারাই পরবর্তী নির্দেশনা জানাবে। ফিফা এরই মধ্যে প্রতিবেদন পেয়েছে। বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।