২কি.মি রাস্তার জন্য ঘুরতে হয় ৩০ কি.মি পথ

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ॥ এক সময় ছিল পাকা রাস্তা, এখন হয়ে গেছে মাটির। শুধু মাটির নয় রীতিমতো হাঁটুকাদা। গত ১২ বছর সংস্কার না হওয়ায় এক সময়ের পিচের রাস্তাটি পুরোপুরি মাটির রাস্তায় পরিণত হয়েছে। রাস্তার যেখানে সেখানে হয়েছে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি। আর বোঝার উপায় নেই এখানে এক সময় পাকা রাস্তা ছিল। বর্তমান অবস্থা এতোটাই খারাপ যানবাহন তো দূরের কথা পথচারী এমনকি গরু ছাগলও হেঁটে যাতায়াত করতে পারছে না। এই অবস্থা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের। গ্রামবাসী সিদ্দিক হোসেন জানান, বিজয়াপুর ও শৈলকুপা উপজেলার পিড়াগাতি গ্রামের মাঝে এই দুই কিলোমিটার রাস্তা দুই উপজেলাবাসীর জন্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূণ ছিল। অথচ এলজিইডির আওতাভুক্ত এই রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও নির্মাণে কোনো গুরুত্ব পায় না। ফলে বছরের পর বছর কাদায় নিমজ্জিত থাকে সড়কটি। দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কর জানান, মাত্র দুই কিলোমিটার রাস্তার জন্যে দুই উপজেলার ২০ গ্রামের মানুষ ৩০ কিলোমিটার ঘুরে ঝিনাইদহ জেলা শহরে যান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের ঝিনাইদহ অংশের পাঁচমাইল নামক স্থান থেকে উত্তর দিকে এই রাস্তাটি ঝিনাইদহের বিজয়পুর, দূর্গাপুর, শৈলকুপার পিড়াগাতি, ফাদিলপুর হয়ে শৈলকুপা উপজেলা শহরে মিলেছে। অন্যদিকে দূর্গাপুর গ্রাম থেকে ঝিনাইদহ শহর পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার রাস্তাও পিচঢালা। কিন্তু ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দূর্গাপুর ও শৈলকুপার পিড়াগাতি গ্রামের মাঝে দুই কিলোমিটার সড়ক রয়েছে চলাচলের একেবারেই অযোগ্য অবস্থায়। রাস্তায় রয়েছে বড় বড় গর্ত। এই গর্ত পেরিয়ে ভারি যানবাহন, ভ্যান-রিক্সা বা মানুষ কারো আর চলার উপায় নেই।
উপজেলার পিড়াগাতি গ্রামের আলিনুর রহমান জানান, ফাদিলপুর বাজারটি শৈলকুপা উপজেলার বড় বাজার। এই বাজারের ব্যবসায়ীরা ঝিনাইদহ শহরে মোকাম করতে পারছেন না। যারা করছেন তাদেরও শৈলকুপা শহর হয়ে ঝিনাইদহ যেতে হচ্ছে। এতে তাদের অতিরিক্ত ৩০ কিলোমিটার ঘুরতে হচ্ছে। এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য সহজে বাজারজাত করতে পারছেন না দুই কিলোমিটার রাস্তার জন্যে। এ বিষয়ে তারা একাধিকবার ঝিনাইদহ এলজিইডি অফিসে যোগাযোগ করেছেন, কিন্তু রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়াট নিয়ে ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনোয়ার হোসেন জানান, রাস্তাটি সংস্কারের জন্যে কয়েক দফা উচ্চ পর্যায়ে লেখালেখি করেছেন কিন্তু এখনও বরাদ্দ পাননি। আবারও বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করবেন বলে তিনি জানান। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।