চৌগাছায় পাটের বাজার ভাল কৃষকের মুখে স্বস্তির হাসি

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছার কৃষকরা পাট চাষ করে এ বছর লাভের আশা করছেন। বর্তমানে নতুন পাট বাজারে আসতে শুরু করেছে, এখনও বাজার দর যা আছে তাতে করে বিঘা প্রতি অন্তত ১০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে মনে করছেন। বছরের পর বছর পাট চাষে ব্যাপক লোকসান হওয়ার পর এ বছর ভাল দাম পেয়ে কৃষক খুশি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর এলাকাতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫০ হেক্টর বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার হেক্টর জমি, সেখানে চাষ হয়েছে ২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। এলাকা বিশেষ রবি তোষা পাট-৮ জাতের চাষ কমবেশি হলেও বেশি চাষ হয়েছে ভারতীয় বিভিন্ন জাতের পাট। বেশ কিছু এলাকার পাট ইতোমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে অধিকাংশ এলাকার চাষিরা এখন পাট হতে আঁশ বের করছেন আর কিছু দিনের মধ্যে নতুন পাটে বাজার ভরে উঠবে।
সরেজমিন চৌগাছার তারনিবাস, কুঠিপাড়া, পাঁচনামনা, দিঘলসিংহ গ্রাম এলাকাতে যেয়ে দেখা যায়, কপোতাক্ষ নদে জাগ দেয়া পাট থেকে আঁশ বের করতে চাষিরা ব্যস্ত। কথা হয় কুঠিপাড়া গ্রামের চাষি হোসেন আলীর সাথে। তিনি বলেন, পাট চাষ করে বছরের পর বছর শুধুই লোকসান গুনেছি। কিন্তু এ বছর এখনও পাটের যে বাজার দর তাতে বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি। একই গ্রামের বিল্টু হোসেন বলেন, চলতি বছরে তিনি ৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেন। ইতোমধ্যে বেশ কিছু পাট বাড়িতে চলে এসেছে। এখন চলছে শুকানোর কাজ। পাটের ফলন বেশ ভাল হয়েছে, বাজার দরও সন্তোষজনক তাই লাভের আশা করা যায়। বাজারের আড়ৎদার কলম হোসেন, সুলতান মাহমুদ, মিন্টু মিয়া বলেন, এ বছর বাজারে পাটের যথেষ্ট চাহিদা আছে। বর্তমানে ২৫শ হতে ৩ হাজার টাকা মণ দরে পাট কেনা হচ্ছে। বাজার দর বাড়বে, কমার সম্ভবনা কম বলে এই ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সমরেন বিশ্বাস বলেন, পাটের কাঙ্খিত বাজার দর না পেয়ে চাষিরা এক সময় পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। কিন্তু গত কয়েক বছর পাটের বাজার ভাল থাকায় চাষিরা লাভবান হচ্ছে, যার করনে প্রতি বছরই পাট চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস চাষিদের পাট চাষে আগ্রহ করতে নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।