ভারতে রফতানির সময় মাছবাহী ট্রাক তল্লাশি নিয়ে বেনাপোলে বিজিবি ও কাস্টম উত্তেজনা

0

বেনাপোল (যশোর) সংবাদদাতা ॥ ভারতে মাছ রফতানির ট্রাক তল্লাশি নিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে বিজিবি-কাস্টমসের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এসময় প্রায় দু’ঘণ্টা রফতানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। অবশেষে বন্দর এলাকায় লিংক রোডে বিজিবি মাছের কার্টন খুলে দীর্ঘ সময় পরীক্ষা করে কোন অনিয়ম পায়নি। জানা গেছে, রফতানির সময় কাস্টম কর্মকর্তারা মাছের ট্রাকগুলোতে থাকা ট্যাংরা, পারসে, তেলাপিয়া ও ভেটকি মাছ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভারতে রফতানির অনুমতি দেন। এতে বাধ সাধেন বিজিবি সদস্যরা। ওই মাছের মধ্যে ইলিশ আছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে তারা রফতানিমুখী ট্রাকগুলো আটকে দেন।
কাস্টমস সূত্র জানায়, সোমবার রাতে ঢাকা মেট্রো-ড-১৪-৭৯১১, ঢাকা মেট্রো-ন-৮৭০০ ও খুলনা মেট্রো ট-১৩১৫ নম্বর ট্রাকে করে মাছের চালান ভারতে রফতানির সময় বন্দরের অভ্যন্তরে বিজিবি ট্রাকগুলো আটক করে। পরে কাস্টমসের অনুমতি না নিয়েই তারা ট্রাক তিনটিতে থাকা মাছের সব কার্টন খুলে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালিয়ে কোন অনিয়ম পাননি। রফতানিকারক এরশাদুল আলম বলেন, এসময় প্রায় ১২ লাখ টাকার ৭ মেট্রিক টন মাছ নষ্ট হয়ে যায়। বিজিবির এ ধরনের হয়রানির কারণে কেউ বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রফতানি করতে চাইছেন না বলে জানান তিনি। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, ৪৯ বিজিবির এলাকায় ২১ বিজিবির একটি দল এসে তিনটি ট্রাক সাদা মাছ রফতানির সময় জব্দ করে কীভাবে? তিনি বলেন, বিজিবি রফতানিকৃত মাছ বন্দর থেকে জব্দ করে নিয়ে যেতে চাইলে সিএন্ডএফ এজেন্ট ও কাস্টমস কর্মকর্তারা বাধা দেন। যদি কোন ইনফরমেশন থাকে তবে কাস্টমস ও বিজিবি যৌথভাবে তল্লাশি করার বিধান থাকলেও বিজিবি সদস্যরা তা আমলে নেননি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক নির্দেশনায় বলা হয় উচ্চ পচনশীল মাছ দ্রুত খালাস করতে হবে। ঘটনার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। মাছের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে খুলনার সাউথ ফুড লিমিটেড ও নিলা এন্টারপ্রাইজ। এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২১ বিজিবির সুবেদার মশিউর রহমানকে মাছের চালান কাস্টমসের সাথে সমন্বয় করে দেখার কথা বললেও তারা মানেননি। , তিনি বলেন, বন্ডেড এলাকার ৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোন শুল্ক পণ্য আটক করলে তা কাস্টমসের সাথে সমন্বয় করে দেখার বিধিমালা রয়েছে। কিন্তু বিজিবি এসব মানে না। ২১ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মঞ্জুর এলাহী জানান, ‘মাছের চালান জব্দ করে তল্লাশি করার সময় কাস্টমসের সাথে বিজিবির কোন মতবিরোধ হয়নি। আমাদের কাছে গোপন সংবাদ ছিল রফতানিমুখী সাদা মাছের ভেতর ইলিশ মাছ যাচ্ছে। তাই মাছের ট্রাকগুলো তল্লাশি করা হয়েছে।’