মসজিদে ঢুকে ৩ ব্যক্তিকে পেটালেন যুবলীগের নেতা

0

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা ॥ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে মসজিদে ঢুকে নামাজরত তিন ব্যক্তিকে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। গত সোমবার সন্ধ্যায় শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালী মোল্লাপাড়া জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ চলাকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা হলেন মিজানুর রহমান। তিনি পদ্মপুকুর ইউনিয়ন যুবলীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি। হামলায় আহতরা হলেন-পাতাখালী গ্রামের এসএম আব্দুস সাত্তার (৬৭), মোসলেম মোল্লা (৬০) ও সাবুদ আলী (৬০)। আহত আব্দুস সাত্তারের ছেলে মাসুম বিল্লাহ জানান, প্রতিবেশী আবুল কাশেমের সাথে তাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে সোমবার আসরের নামাজের পর তার বাবা (আব্দুস সাত্তার) ও আবুল কাশেমের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে মাগরিবের সময় স্থানীয় যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান, তার বাবা আবুল কাশেম ও ছোট ভাই জালাল উদ্দিন সংঘবদ্ধ হয়ে মসজিদে ঢুকে নামাজরত অবস্থায় আব্দুস সাত্তারকে মারধর করেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা প্রতিবেশী মোসলেম মোল্লা ও সাবুদ আলীকেও বেধড়ক মারপিট করেন। এতে তিন জনই রক্তাক্ত জখম হন। আহতদের উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায়ের সময় মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে লোকজন আব্দুস সাত্তার, মোসলেম মোল্লা ও সাবুদ আলীকে মারপিট করেন। তিনি বলেন, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান এলাকায় চাঁদাবাজ ও উচ্ছৃঙ্খল যুবক হিসেবে পরিচিত। এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মিজানুর বলেন, ‘প্রথমে তারা আমার বাবা আবুল কাশেমের সাথে ঝগড়া করেন এবং তাকে মারপিট করে রাস্তায় ফেলে রাখেন। ঘটনাটি জানার পর আমি সেখানে গেলে আমার সাথেও তারা তর্ক করেন। মসজিদের ভেতরে কোনো মারামারি হয়নি।’ শ্যামনগর থানা পুলিশের ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, ‘ঘটনাটি থানায় কেউ জানাননি। খোঁজখবর নিচ্ছি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’