প্রতারণা করে দোকান কর্মচারীদের টাকা আত্মসাৎ, মালিক আটক

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতানোর অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছিলেন মনিরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক ব্যক্তি। নিজের জুতার দোকানে কর্মচারী নিয়োগের নামে তিনি অর্ধলাখ করে নিতেন। এভাবে ৮ জন কর্মচারীর কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও তার শেষ রক্ষা হয়নি। ইসতিয়াক আহমেদ (২১) নামে একজন কর্মচারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শনিবার সকালে যশোর অভয়নগরের চেঙ্গুটিয়া বাজার থেকে তাকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। আটক মনিরুল ইসলাম চৌগাছা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। আর অভিযোগদাতা কর্মচারী ইসতিয়াক আহমেদ হলেন একই উপজেলার জগদিশপুর গ্রামের মৃত গফ্ফার হোসেনের ছেলে।
ইসতিয়াক আহমেদের অভিযোগ, পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য তিনি চাকরি খুঁজছিলেন। এ সময় পূর্ব পরিচিত মনিরুল ইসলাম সদরের চুড়ামনকাটি বাজারে তার ‘নাহিদ অ্যান্ড গালিব সু’ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার পদে চাকরির প্রস্তাব দেন। এতে তিনি রাজি হলে মনিরুল ইসলাম নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জামানত নেন। তাকে বলা হয়েছিলো, চাকরির বয়স ৬ মাস হলে তার জামানতের সমুদয় টাকা ফেরত দেয়া হবে। কিন্তু ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি চাকরিতে যোগদানের দুই মাস পর মনিরুল ইসলাম নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। তবে তার কাছ থেকে নেয়া জামানতের টাকা ফেরত দেয়া হয়নি। টাকা ফেরত চাইলে মনিরুল ইসলাম তার সাথে নানা তালবাহনা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ইসতিয়াক আহমেদ জানতে পারেন, তার মত অনুরুপ আরও ৭ জন কর্মচারীর কাছ থেকে জামানত হিসেবে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রতিষ্ঠান মালিক। এর মধ্যে মির্জাপুর গ্রামের নয়ন হোসেনের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা, নাজমুল হোসেনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা, আসিম উদ্দিনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা, ইমন হোসেনের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা, মহিন আলীর কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা, পিয়ারুল ইসলামের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ও জগদিশপুর গ্রামের ৫০ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। কিন্তু মনিরুল ইসলাম কারোর জামানতের টাকা ফেরত দেননি। টাকা ফেরত চাইলে মনিরুল ইসলাম কর্মচারীদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাতেন। ফলে ইসতিয়াক আহমেদ পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ গত শনিবার সকালে অভয়নগরের চেঙ্গুটিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠান মালিক মনিরুল ইসলামকে আটক করে। পরে এ ঘটনায় তিনি কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন।