চৌগাছায় একই জমিতে একাধিক ফসল চাষে সফলতা পেয়েছেন সুলতান আহমদ

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছায় মূল ফসলের সাথে একাধিক ফসলের চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষক সুলতান আহমদ।
চৌগাছা-কোটচাঁদপুর সড়কে মুক্তদাহ মোড় পার হলেই সড়কের পশ্চিম পাশে দেখা মিলবে পেঁপের সাথে একাধিক সাথী ফসলের চাষ। প্রায় ২ বিঘা জমিতে চাষ করা হয়েছে উন্নত জাতের পেঁপে। সেই সাথে চাষ হচ্ছে ওল, কাঁচা মরিচ, হলুদ, ডাটা, ঢেঁড়স, মেটে আলু, ঘেটকোল, বেগুন আর গবাদিপশুর জন্য ঘাস। একই জমিতে বিভিন্ন ফসলের চাষ করা হলেও প্রত্যেকটি ফসল নিজে নিজেই বেড়ে উঠছে। এরজন্য ওই শিক্ষককে তেমন কোনো ব্যয় বা পরিশ্রম করতে হয়নি। তবে তুলনামূলক কিছুটা সার ও কীটনাশক বেশি ব্যবহার করতে হয়। ফসলের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ধরনের বীজও উৎপাদন করছেন ওই জমিতে।
উপজলার ধুলিয়ানী ইউনিয়নের মুক্তারপুর গ্রামের সুলতান আহমদ মাদ্রাসায় শিক্ষকতা জীবন শেষ করে কৃষি কাজে মনোনিবেশ করেছেন। সম্প্রতি কোটচাঁদপুর সড়কে মুক্তদাহ মোড়ে তিনি প্রায় ২ বিঘা জমি কিনে সেখানে তৈরি করেছেন নানা রকমের ফসলের মাঠ।
সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, এক সময়ের সুলতান আহমদ ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে নানা ফসলের চাষ করে বর্তমানে বেশ সাফল্য পেয়েছি।’ এই জমিতে অন্তত ১০/১২ প্রকার ফসলের চাষ করেছি, প্রতিটি ফসল হতেই তিনি সন্তোষজনক টাকা রোজগার করবেন বলে আশা করছেন। শুধু তাই না জমির বিভিন্ন অংশে নানা ধরনের ফসলের বীজ তৈরি করছেন, যা বাজারে বিক্রি করে বেশ টাকা আয় হবে। ইচ্ছাশক্তি, মেধা আর পরিশ্রম করলে সব কিছুতেই সাফল্য বয়ে আনা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। তার এই সাফল্য দেখে এলাকার অনেকেই আগামীতে মূল ফসলের সাথে সাথী ফসল চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সমরেন বিশ্বাস জানান, ‘এক জমিতে একাধিক ফসল ফলানো কৃষকের সংখ্যা খুবই কম, আমরা কৃষি অফিস চাষিদের এ ধরনের ফসল উৎপাদনের জন্য উৎসাহী করছি।’