করোনায় মৃত্যু ১৬ হাজার ছাড়ালো

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনাকালের মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে জটিল সময় কাটছে এখন । দহনকাল শুরু হয়েছে ১ জুলাই থেকে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত আর মৃতের মিছিল। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নানাবিধ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরও ঠেকানো যাচ্ছে না আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।হাসপাতালে বেড ফাঁকা নেই। আইসিইউ বেড তো সোনার হরিণ। অক্সিজেনের সংকট সারা দেশে। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা শতো চেষ্টা করেও রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। মৃত্যু ছিনিয়ে নিচ্ছে চারপাশের মানুষজন আর নিজেদের আপনজনদের। একেকটি সৃত্যু একেকটি পরিবারকে নিঃস্ব আর রিক্ত করে দিচ্ছে।
তারপরও বেশিরভাগ মানুষের মাঝে নেই সচেতনতা। স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না মানুষ। মাস্ক ব্যবহারেও অনেকের অনীহা। ফলে অক্টোপাশের মতো করোনা ভাইরাস প্রতিদিনই আঁকড়ে ধরছে মানুষকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার করে বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য। সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে না বের হতে। সেসবের তোয়াক্কা করছে যেন মানুষ। অহেতুক রাস্তায় বের হয়ে প্রতিদিন মোবাইল কোর্টে জেল-জরিমানা হচ্ছে। তারপরও সচেতনতা বাড়ছে না।
অথচ এ মূহুর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার স্বাস্থ্য সচেতনতা, মাস্ক পরা এবং ঘরের বাইরে না যাওয়া বলে মনে করেন, এম আর খান শিশু হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. ফরহাদ মনজুর। তিনি বলেন, সরকারের শতো প্রচেষ্টা, শাস্তিমূলক ব্যবস্থায়ও মৃত্যু এবং শনাক্তের হার কমছে না। কারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। বড় ভয়াবহ সময় পার করছি আমরা। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। মহামারী ঠেকানোর একটাই উপায়, লকডাউন মেনে ঘরে থাকা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১২ জন। এ নিয়ে আজ (৯ জুলাই) পর্যন্ত দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৬ হাজার ৪ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৩২৪ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৫৪৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের গড় হার ১৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬০।
জুলাই ১ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ হাজার ২৮৫ জন। গড়ে প্রতিদিন আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৬৯৮ জন। ৯ দিনে মারা গিয়েছেন ১ হাজার ৫০১ জন। গড়ে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা ১৬৭ জন। সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জুলাই ১১ হাজার ৬৫১ জন এবং সবচেয়ে বেশি মারা গিয়েছেন ৯ জুলাই ২১২ জন।