যশোরের বাজারগুলো জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে বাড়তি খাজনা আদায়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবশেষে যশোর জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে স্থগিত হল বড়বাজারের বাড়তি খাজনা ও টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত।
গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মো. তজিমুল ইসলাম খান পৌরসভাকে মৌখিকভাবে নতুন করে খাজনা টোল না বাড়ানোর অনুরোধ জানান। পরে পৌর মেয়র হায়দার গনি খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পৌরসভা নিয়ন্ত্রণাধীন ২টি বাজারসমূহের ইজারা গ্রহীতাকে আগামী তিন মাস পর্যন্ত নতুন টোল রেট কার্যকর না করার নির্দেশ দেন এবং পূর্বের রেট অনুযায়ী টোল আদায় করতে বলেন।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার যশোর বড়বাজারে চাল ব্যবসায়ীদের কাছে বাড়তি টোল আদায় করতে যান ইজারাদার প্রদীপ কুমার নাথ বাবুল। এ সময় বড় বাজারের তিন শতাধিক চাল ব্যবসায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য দোকান বন্ধ করে ধর্মঘটের ডাক দেয়। তাদের সাথে মুদি ব্যবসায়ীরা একাত্মতা প্রকাশ করে অনির্দিষ্টকালের জন্যে চাল বিক্রি না করার কথা বলতে থাকেন। ব্যবসায়ীদের দাবি, বৈশাখ মাসে টোল নির্ধারণ করার পর হঠাৎ করে টোল বৃদ্ধি করা বেআইনি। গত ৩ জুলাই বড় বাজারের ইজারাদার প্রদীপ কুমার নাথ বাবলু নতুন বর্ধিত রেটে টোল আদায় করতে গেলে ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ওই দিন তারা যশোর চাল ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে বিষয়টির সমাধান চেয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। পরদিন চাল বিক্রি না করে ধর্মঘট পালন করে।
গতকাল আবারও টোল আদায় করতে গেলে ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেন। বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসক পৌর মেয়রকে আপাতত বাড়তি টোল আদায় না করার অনুরোধ জানান। পরে পৌরসভা ৩ মাস সিদ্ধান্ত স্থগিত করে। এ বিষয়ে যশোর চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ বলেন, তিন মাস নয়-স্থায়ীভাবে পূর্বের রেটে টোল দিতে চাই। এটি আমার নিজের কথা নয়। বড় বাজারের তিন শতাধিক চাল ব্যবসায়ীর দাবি। তিন মাস পর টোল বাড়িয়ে দিলে আমাদের ব্যবসা বন্ধ করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. তজিমুল ইসলাম খান বলেন, বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। আমি পৌর মেয়রকে এই মুহূর্তে বাড়তি টোল আদায় করতে নিষেধ করেছি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি বসে সমাধান করা হবে।