প্রধানমন্ত্রীকে সমালোচনা সহ্য করতে হবে : সংসদে এমপি হারুন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ প্রধানমন্ত্রীকে সমালোচনা সহ্য করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুন উর রশিদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন তাই তাকে নিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনাও হবে।মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এমপি হারুন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। আবার একটি রাজনৈতিক দলেরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। সুতরাং উনাকে নিয়ে যেমন প্রশাংসা হবে পাশাপাশি সমালোচনাও হবে। এটি গণতন্ত্রের উপাদান। এখন সমালোচনা হতে গিয়ে যদি তাদেরকে কারাগারে যেতে হয়, তাদেরকে যদি নিপীড়ন ভোগ করতে হয় এটা খুব দুঃখজনক। এ দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। ভিন্নমত প্রকাশের স্বার্থে আজকে যারা আলোচনা-সমালোচনা করতে চায় সে বিষয়টিকে আপনার সেভাবে নিয়ে আসতে হবে। এটি কিন্তু বাংলাদেশে একটি বড় সংকটের সৃষ্টি করেছে।’
বিএনপি দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুব ধৈর্য সহকারে শুনেছি। বিরোধী দলের নেতারও বক্তব্য আমি শুনেছি। একটি বিষয় আমি অনুরোধ করবো অন্তত কোভিডকালীন সময়ের কারণে আমাদের বিভিন্ন সরকারি জায়গায় নিয়োগ বন্ধ হয়ে গেছে। সুতরাং আজকে যাদের বয়স পাড় হয়ে যাচ্ছে তারা কিন্তু একটা অস্থির অবস্থায় আছেন। সুতরাং এটা বিবেচনায় রেখে কোভিড থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা মুক্ত না হচ্ছি এই সময়টা যেন বৃদ্ধি করা হয়। আগামীকালকে যে আইনটি পাশ করবেন সেখানে অবশ্যই জাতিকে এবিষয়ে একটি আশ্বাস দিবেন। দ্বিতীয়ত বেসরকারি মানসম্মত স্কুল-কলেজ কর আরোপ তো দূরের কথা এদেরকে আপনি প্রণোদনা দেন। এদেরকে আরো আর্থিক সহয়তা দেন। তাহলে আমাদের দেশে যে দক্ষ জনবল, জনশক্তি গড়তে চাচ্ছি সেই ক্ষেত্রে আমরা অনেক বেশি অগ্রসর হবো।’
এমপি হারুন আরো বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। যোগাযোগমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীকেও চিঠি দিয়েছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আগামীকাল পত্রটি দিবো। খুব গুরুত্বপূর্ণ। আজকে আমাদের স্থলবন্দর সোনামসজিদ দিয়ে যে পণ্য আমদানি হয় তারমধ্যে দেশের সড়ক-সেতু নির্মাণে যে পাথর আমদানি হয় তার শতকরা ৯০ ভাগ হয় এখান থেকে। আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান যখন বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ করেন তখন এটির স্টেশন ওপেন করেছিলেন। আজকে সেখান দিয়ে যে পরিমাণ পাথর পরিবহণ হচ্ছে তাতে সড়কগুলো নষ্ট হচ্ছে। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ দাবি করে আসছি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আমরুলা রেলপথ স্টেশন রোহানপুরে আছে। ওটা কোন কাজে লাগে না। ওটাও বিএনপির স্টাবলিস্ট করা। ওখানকার ল্যান্ডস্ক্যাপটা ভালো না।
‘আমরুলাতে ২০০ একর রেলের জমি আছে। শুধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি সম্মতি দিন আমি আপনাকে বলছি রেলে যদি এ পাথরটা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে যায় তবে সড়কটা বেঁচে যাবে। এজন্য আপনার সেখানে তেমন কোনো টাকাও খরচ যাবে না। ওখানে রেলের ২০০ একর জমি। আমি কালকে তথ্যসহ দিবো। আপনি শুধু নির্দেশটা দেন। দ্বিতীয়ত আমাদের সোনামসজিদ থেকে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর সেতু পর্যন্ত দুই লেনের সড়ক আজকে ৩০ বছর আগে হয়েছে। এখান থেকে লাখ লাখ টাকা রেভিনিউ আসছে। এই সড়কটা ফোর লেন করতে না পারেন অন্তত একটু প্রশস্ত করে দিন। প্রতিনিয়ত ওখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। এই দুটো দাবি আমি আপনার কাছে রাখছি। আমি মন্ত্রীর কাছে যতই ঘুরি আপনি সিদ্ধান্ত দিলে এক মাসের মধ্যে সেটা কার্যকর হবে’, বলেন হারুন।