নতুন ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট কতটা বিপজ্জনক তা এখনো অনিশ্চিত

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সম্প্রতি শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে ভারত। এটি প্রথম শনাক্ত হয় ইউরোপে। তবে এই ভ্যারিয়েন্ট আগের থেকে ভয়াবহ কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদিও জানিয়েছে, তাদের গবেষণা বলছে এই ভ্যারিয়েন্ট তুলনামূলক অধিক দ্রুত ছড়াতে পারে এবং ফুসফুসেও সহজে আক্রমণ করতে পারে।
এই ভ্যারিয়েন্টটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে স¤পর্কিত। এটি প্রথম ভারতেই শনাক্ত হয়েছিল। ভারতে যে কোভিডের ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউ দেখা গিয়েছিল তার জন্য এই ভ্যারিয়েন্টকে দায়ি করা হয়। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের ৪০ টি কেস শনাক্ত করা হয়েছে।
এগুলো মহারাষ্ট্র, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশের ৬ জেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। করোনায় সবথেকে বেশি আক্রান্ত হওয়া রাজ্যগুলোর একটি এই মহারাষ্ট্র। এখান থেকেই ১৬টি নমুনা পাওয়া গেছে।
বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, জাপান, পোল্যান্ড, নেপাল, রাশিয়া ও চীনে এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। তবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে ৮০টিরও বেশি দেশে। সাধারণত যখন কোনো ভ্যারিয়েন্টে বিপজ্জনক কোনো বৈশিষ্ট্য শনাক্ত হয় তখন তাকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এরমধ্যে আছে সহজে সংক্রমিত হওয়া, অসুস্থতার হার বৃদ্ধি করা কিংবা ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা হ্রাস পাওয়ার মতো বিষয়গুলো। তবে বৃটেনের প্রথম সারির বিজ্ঞানীরা ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে ঘোষণা করার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন এখনো এই ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগজনক তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এটি দ্রুত ছড়ায় বা এটি রোগিকে বেশি অসুস্থ করে তার কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
রয়্যাল সোসাইটি অব লন্ডনের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ গঙ্গান্দ্বীপ কাং বলেন, এখনো কোনো তথ্য নেই যার উপর ভিত্তি করে একে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন বলা যেতে পারে। এরকম ঘোষণার আগে বৈজ্ঞানিক তথ্য দরকার। অর্থাৎ, ভারতকে অবশ্যই এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আরো তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।