চৌগাছায় সড়কের পাশে সরকারি গাছগুলো নিধন করা হচ্ছে কৌশলে

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছায় প্রধান প্রধান সড়কসহ গ্রামাঞ্চলের সড়কের পাশে সরকারি গাছ নিধনে মেতে উঠেছে একটি চক্র। ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলে চক্রের সদস্যরা নানা কৌশলে গাছগুলো সাবাড় করছে। গাছ মানুষের পরম বন্ধু। সড়কের পাশে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির গাছ প্রখর রোদে পথচারীদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে। গাছ থেকে পাওয়া নির্মল অক্সিজেন মানুষ গ্রহণ করে বেঁচে আছে। অথচ সেই গাছগুলো এক শ্রেনীর অসাধু ব্যক্তি মেরে ফেলার জন্য মেতে উঠেছে। সরকারি সড়কের পাশে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বাড়ির সামনের গাছ কীভাবে মারা যায় তার চেষ্টা করছেন ওইসব বাড়ি মালিক। আবার ফসলি জমি গাছের ছায়ার কারণে ফসল নষ্ট হচ্ছে এমন কথা বলে গাছ কেটে সাবাড় করছে অনেকে। এর ফলে চৌগাছা উপজেলার প্রতিটি সড়কের পাশের সরকারি গাছগুলো নির্বিচারে মারা হচ্ছে। তবে কিছু গাছ প্রাকৃতিকভাবে মারা গেলেও অধিকাংশ গাছ মানুষ কৌশলে মেরে ফেলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের ফাঁসতলা বাজার। যার দূরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার। এই ৭ কিলোমিটার সড়কের পাশে অন্তত অর্ধশত গাছ নানা কারণে মারা গেছে। অনেক গাছ মরার উপক্রম হয়েছে, আবার বেশ কিছু গাছ যেন বাঁচার জন্য মানুষের কাছে আকুতি করছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিশাল বিশাল আকৃতির গাছ মারা যাওয়ার পর শুকিয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। আবার বেশ কিছু গাছের গোড়া গোল করে কেটে রাখা হয়েছে, যাতে ধীরে ধীরে গাছটি মারা যায়। গাছ খেকোরা আবার নতুন পদ্ধতি আবিস্কার করেছে। তারা গাছের গোড়ায় লতাপাতা জড়ো করে কেরোসিন বা পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে, যাতে ওই গাছ একসময় মারা যায়। নাম প্রকাশে একাধিক ব্যক্তি জানান, গাছ নিধনের সাথে জড়িত চক্রটি বেশ শক্তিশালী। তারা নানা উপায়ে গাছ মারার পর ওই গাছের ডালপালা আগে কেটে নেয়। এরপর সুযোগ বুঝে পুরো গাছ মেরে বিক্রি করে। অনেকে সড়কের পাশে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। তারা নানা কৌশলে গাছ মেরে ফেলছে। এ বিষয়ে যশোর জেলা পরিষদ সদস্য ও সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হবিবর রহমান হবি বলেন, গাছ খেকোরা দেশ ও জাতির শত্রু। তাই ওদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। অন্যরাও ছাড় পাবে না বলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন।