সাতক্ষীরা সংবাদাতা॥ মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সুশীলগাতিতে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে দৈহিক নির্যাতনের পর তার মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক রয়েছে।
দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা জানান, নিহত গৃহবধূ তাসলিমা খাতুন (৩৮) কালিগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের আজিবর রহমানের স্ত্রী। প্রাপ্ত সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি জানান নানা কারণে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। সোমবার রাতে স্ত্রী তাসলিমাকে বেড়াতে নিয়ে যাবার কথা বলে আজিবর তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে চলে যায়। রাতে কোনো এক সময় তাকে হত্যা করে মরদেহটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সে। ওসি আরও জানান তাসলিমার মাথায় আঘাত ও রক্তের চিহ্ণ ছাড়া হাতে পায়ে নির্যাতনের দাগ রয়েছে। তাকে অনেকটাই বিবস্ত্র অবস্থায় দেবহাটার সুশীলগাতি স্কুলের কাছে একটি বাগানে ফেলে রেখে যায় ঘাতক। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের মৌতলায় একটি চলন্ত বাসের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৪৫ বছর বয়সী মোশাররফ হোসেন। তিনি একজন মানসিক রোগী ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। তিনি ছিলেন সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা। কালিগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন মানষিক ভারসাম্যহীন ছিলো। মঙ্গলবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে তিনি চলন্ত বাসের নিজে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। সেখানেই মারা যান তিনি। ময়না তদন্তের জন্য তার মরদেহ পাঠানো হয়েছে সাতক্ষীরা হাসপাতাল মর্গে।