সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গে মৃত্যু তিন, আক্রান্ত ১০৩ জন

0

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা ॥ করোনা সংক্রমণরোধে সাতক্ষীরায় সাতদিনের লকডাউনের গতকাল মঙ্গলবার চতুর্থ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় এখানে নমুনা পরীক্ষা করে ১৮৭ জনের মধ্যে ১০৩ জনের করোনা করোনা সনাক্ত হয়। এছাড়া একই সময় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। সর্বশেষ তথ্য মতে, সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্তের হার ৫৫ ভাগ। সাতক্ষীরা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, সাতক্ষীরায় ৪১০ জন করোনা পজেটিভ রোগী রয়েছে। এরমধ্যে ৫৫ জন সাতক্ষীরার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বাকীরা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যারা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে তাদের অধিকাংশই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে অনেকেই বসবাস করছে, চলাফেরা করছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টিতে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। কঠোরতা না থাকায় রোগীরাও ইচ্ছে মতো ঘুরাফেরা করছে। সাতক্ষীরা জেলা শহরে সাধারণ মানুষ কিছুটা লকডাউন পালন করলেও গ্রামের চিত্র একেবারে ভিন্ন। গ্রামের মানুষ মানছে না লকডাউন। তারা মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। হাটবাজারে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই সবাই চলাফেরা করছে। লকডাউনের বাধা নিষেধের কারণে জেলা শহরে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মানুষের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে মাস্ক। সব গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাবেচার সুযোগ রয়েছে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত। লকডাউনের মধ্যে ওষুধের দোকান, অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল, ক্লিনিক, বিদ্যুৎ, জ¦ালানি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে খুলনা ও যশোর যাতায়াতের পথ বন্ধ রাখা হয়েছে। ভোমরা স্থলবন্দরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। তবে, ভারতীয় চালক ও হেলপাররা যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন সে জন্য পুলিশ ও বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।