শালতা খননে লাখো মানুষের ভোগান্তির অবসান

0

তালা (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা॥ শালতা নদী খননের সুফল পেতে শুরু করেছেন নদী পাড়ের লাখো মানুষ। নাব্যহারা নদীর কারণে তাদের দীর্ঘ দিনের ভোগান্তির অবসান হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা শালতা নদীর বর্তমান অবস্থার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে শালতা খননের সুফলভোগীদের সাথে কথা বলেন। সাতক্ষীরার তালা, খুলনার ডুমুরিয়া ও পাইকগাছা উপজেলার সীমানা দিয়ে প্রবাহিত শালতা নদী। নদীতে নাব্য না থাকায় জলাবদ্ধতা প্রতি বছর বিপন্ন হয় জনজীবন। কর্মহীন হয়ে পড়ে এলাকার হাজার হাজার মানুষ। অন্যদিকে ক্ষতির শিকার হন এলাকার চাষীরা। একসময় পশ্চিম শালতার জীবন ফিরে পেতে শালতা বাচাও আন্দোলনে নামেন নদী পাড়ের হাজার হাজার মানুষ। আন্দোলনের ফলে বর্তমান সরকার পশ্চিম শালতা নদী খননে ডেল্টা প্রকল্প- ২০২১ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন। এ প্রকল্পে ১৩ কিলোমিটার নদীর উপরে অংশে ৩২ মিটার (চওড়া), তলদেশ ১৫ মিটার ,গভীরতা সাড়ে তিন মিটার করা হবে উল্লেখ আছে। খননে ব্যয় ধরা হয় ১৪.৬৩ কোটি টাকা।
সরেজমিনে গ্ল¬াবদাহ, মাগুরখালী, মাছিয়াড়া, বৈঠাহারা, খোরের আবাদ, কাঠবুনিয়া, মুন্সিরআবাদ এলাকার পশ্চিম শালতা পাড়ে ঘুরে কথা হয় স্থানীয়দের সাথে। তালা উপজেলার কাঠবুনিয়া গ্রামের গণেশ মন্ডলের ছেলে অচিন্ত মন্ডল (৪০), বোজন মন্ডলের ছেলে নিশাত মন্ডল, নলতা গ্রামের মৃত আইনউদ্দীন শেখের ছেলে আজগর আলী শেখ, মহান্দী গ্রামের মৃত ছানাতুল্লা মোড়লের ছেলে হান্নান মোড়ল জানান, শালতা নদী খনন কাজ শেষ হওয়ায় তারা জলাবদ্ধতার থেকে রেহায় পেয়েছেন। এছাড়া ধান, সবজি এবং মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন । এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস.কে.ই.এস.এ (জেভি) এর ঠিকাদার শামীম আহম্মেদ জানান, সুষ্ঠুভাবে শালতা নদী খনন কাজ শেষ করেছেন। খনন শেষে বাধ কেটে দেওয়ায় এলাকার চিংড়ি চাষীসহ সর্বস্তরের মানুষ উপকৃত হয়েছেন এবং তারা যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আরশাফুল আলম জানান, প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পশ্চিম শালতা নদী খনন কাজ পরিদর্শন করা হয়েছে এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলা হয়েছে। এ নদী খনন হওয়ায় সুফলভোগীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী রফিক উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পিযুষ কুন্ডু ও নির্বাহী প্রকৌশলী আশলাফুল ইসলাম।