শালিখার সীমাখালীর যাত্রী ছাউনী কবে চালু হবে? নির্মান কাজের সময় সীমার ৯ মাস পার

0

শহিদুজ্জামান চাঁদ আড়পাড়া(মাগুরা)সংবাদদাতাঃ শালিখার সীমাখালীর যাত্রী ছাউনীর নির্মান কাজ ৯ মাস আগে শেষ হয়ে গেলেও আজও পর্যন্ত যাত্রী ছাউনীটি চালু হলো না। হাজার হাজার মানুষের যে দুর্দশা-দুর্ভোগ,অবস্থা তাই রয়েই গেল। তাহলে মাগুরা জেলা পরিষদ দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পরে এসে জন দুর্ভোগ লাঘবের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেও আজ অবধি সেই দুর্ভোগ ঘোচাতে পারলেন না।
৫ বছর পুর্বে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় লেখা হয়েছিল যে “ঢাকা- কলকাতা তথা যশোর মাগুরা মহা সড়কের পাশে চিত্রা নদীর তীর ঘেসে গড়ে উঠা একটা বড় বাজার সীমাখালী। শালিখা উপজেলার বৃহত্তম এই বাজারে ৩ একর ৫৬শতক সরকারি হাটের জমি রয়েছে।এই বাজারকে কেন্দ্র করে আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এখানে একটি মডেল সরকারি প্রাইমারী স্কুল,কলেজিয়েট হাইস্কুল,৮/১০টি এনজিও প্রতিষ্ঠান,৩/৪টি বৃহৎ শিল্পকলকারখানা,বিভিন্ন ধরনের কাঠের শিল্প কারখানা,বৃহৎ গোহাট,৩/৪টি ব্যাংক,ধান পাট শস্য মসুরী প্রভৃতি ভুষি মালের আড়ৎ,কাচাঁ বাজার,বিভিন্ন ধরনের কাচাঁপাকা ফলের মোকামও রয়েছে এই সীমাখালী বাজারে। দুরপাল্লার গাড়ীর অন্তত ১০টি পরিবহন কাউন্টার রয়েছে এখানে। নড়াইল,কালীগঞ্জ ঝিনাইদহ ও বাঘারপাড়ার বিভিন্ন অঞ্চলের অগনিত লোকের যাতায়াত এই সীমাখালীর উপর দিয়ে। পরিতাপের বিষয় এত গুরুত্বপুর্ন যাতায়াতের কেন্দ্রস্থল হওয়া সত্বেও দেশ স্বাধীনের ৪৭ বছর পরেও এখানে একটা যাত্রী ছাউনী তৈরী করা সম্ভব হয়নি। প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকের যাতায়াত হয় এই সীমাখালীর বাসস্টান্ড দিয়ে। প্রতিদিন হাজার হাজার নরনারী রোদবৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘন্টার পর ঘন্টা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছানোর জন্য অপেক্ষা করে থাকে। যশোর-খাজুরা-মাগুরার মালিক সমিতির ৮৪টি টিপ গাড়ী এই সীমাখালীর উপর দিয়েই প্রতিদিন চলাচল করে।অন্তত ৩০টি কোম্পানীর পরিবহন গাড়ী এই পথেই চলাচল করে থাকে।“
এরপর কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। বিষয়টি নিয়ে মাগুরা জেলা পরিষদ সীমাখালী বাজার সংলগ্ন বাসস্টান্ডে বৃহৎ পরিসরের যাত্রীছাউনী,বিশ্রামাগার ও টয়লেট নির্মানের সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু করে । ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের এডিপি বরাদ্ধের প্রাক্কলিত মুল্য পচিঁশ লক্ষ টাকা নির্ধারন করে ঠিকাদারের মাধ্যমে তেইশ লক্ষ পচাঁত্তর হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ শুরু করেন্। মাগুরার মহম্মদপুরের ঠিকাদার মেসার্স উর্মি এন্টারপ্রাইজ(প্রোঃ মোঃ আক্তারুজ্জামান সাহেব) ১৭ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে এ কাজ শুরু করেন। ১৮০ দিন সময় সীমার মধ্যে ১৬/০৭/২০২০ইং কাজ শেষ করতে হবে বলে সময় সীমা বেধে দেয়া হয়। দীর্ঘকাল পর সীমাখালীতে একটি যাত্রী ছাউনী তৈরীর খবরে শালিখাসহ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পুরন হতে যাচ্ছে জেনে এলাকার সচেতন মহল মাগুরা জেলা পরিষদকে ধন্যবাদ জানায়।
শালিখা উপজেলার বৃহত্তম এই বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে বৃহৎপরিসরের যাত্রীছাউনী,বিশ্রামাগার ও টয়লেট নির্মানের সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু হওয়াই মাগুরা জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ কাশেম মীনাও এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। হাজার হাজার নরনারীর কষ্টের লাঘব হবে বলে বাজারের সর্বস্তরের জনগনও এ উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সর্বশেষ দেখা গেল বৃহৎপরিসরের যাত্রীছাউনী,বিশ্রামাগার ও টয়লেট নির্মানের সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু করে ৯ রুম বিশিষ্ট লম্বা ঘর করে ১টিতে টয়লেট,২টিতে বসার বেঞ্চ তৈরী করে বিশ্রামাগার, আর বাকী ৬টি রুম খোলামেলা-ই রাখা হয়েছে। এই রুমগুলো কি ভাড়াই ব্যবহৃত হবে? এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যাত্রীছাউনীর নির্মান কাজের ৯ মাস পার হলেও নিচেই মাটি ভরাট করে আজও পর্যন্ত যাত্রী ছাউনীটি চালু করা হচ্ছে না কেন? শোনা যাচ্ছে রুমগুলো ভাড়ায় নেয়ার জন্য বড় বড় পার্টি দেন দরবার অব্যাহত রেখেছেন। এব্যাপারে মেসার্স উর্মি এন্টারপ্রাইজ এর ঠিকাদার মোঃ আক্তারুজ্জামান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন সীমাখালী যাত্রী ছাওনীর কাজতো অনেক আগেই হয়ে যাওয়ার কথা ছিল কেন হচ্ছে না আমি জেলা পরিষদের সাথে কথা বলে দেখবো।