করোনাকালীন ভোমরা বন্দরে বেড়েছে রফতানি আয়

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥করোনাকালীন সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে রফতানি আয় বেড়েছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের গত নয় মাসে ২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় অন্তত ২৫ শতাংশ রফতানি আয় বেড়েছে। গত নয় মাসে ভোমরা বন্দর দিয়ে ১ হাজার ৫০৮ কোটি ৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৮০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন বাংলাদেশী পণ্য রফতানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৫০ কোটি টাকারও বেশি।
রফতানীকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে জামদানি শাড়ি, রাইস ব্র্যান্ড অয়েল, কাপড়, পাটের সুতা, পাটের চট, গার্মেন্টস বর্জ্য, নারকেল শলা, মধু, প্রাণের জুস, লিচু ড্রিংকস, প্রাণের চানাচুর ও চিপচ অন্যতম।
ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স গনি অ্যান্ড সন্সের ব্যবস্থাপক অশোক কুমার বলেন, তার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে থাকে ভারতে। এর মধ্যে জামদানি শাড়ি, প্রাণের সামগ্রী, গার্মেন্ট বর্জ্য ও রাইস ব্র্যান্ড অয়েল অন্যতম। অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছর তার প্রতিষ্ঠানে রফতানি বেড়েছে।
তবে উচ্চমূল্যের পণ্যসামগ্রী বেশি রফতানি হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভোমরা শুল্কস্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ পর্যন্ত ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশী পণ্য রফতানি হয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮৪ দশমিক ৪৮ টন। এর মধ্যে জুলাইয়ে ২০ হাজার ৮৯৪ দশমিক ৪৮ টন, আগস্টে ১৫ হাজার ৯৬২ টন, সেপ্টেম্বরে ১৮ হাজার ১৯০ টন, অক্টোবরে ১৩ হাজার ৮৬৫ টন, নভেম্বরে ১৭ হাজার ২৪৪ টন, ডিসেম্বরে ১৯ হাজার ৯৮৫ টন, জানুয়ারিতে ১৯ হাজার ৪৫৪ টন, ফেব্রুয়ারিতে ১৭ হাজার ৬৭২ টন ও মার্চে ২০ হাজার ৪১৮ টন। রফতানীকৃত এসব পণ্যের মূল্য ১ হাজার ৫০৮ কোটি ৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৮০ টাকা।
সূত্রটি আরো জানায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময় অর্থাৎ জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে বিভিন্ন ধরনের বাংলাদেশী পণ্য রফতানি হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৫১ টন, যার মূল্য ১ হাজার ১৪৫ কোটি ৩০ লাখ ৩০ হাজার ৪৬২ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে রফতানি আয় বেড়েছে ৩৫০ কোটি টাকার উপরে।
ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, গত অর্থবছরের নয় মাসের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে অন্তত ২৫ শতাংশ রফতানি আয় বেড়েছে। তবে রফতানীকৃত পণ্যের পরিমাণ কমেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানীকৃত বাংলাদেশী পণ্যের পরিমাণ বেশি ছিল। কিন্তু রফতানীকৃত পণ্যের মূল্য ছিল কম। এবার পরিমাণ কম হলেও সেগুলোর উচ্চমূল্যের কারণে রফতানি আয় বেড়েছে।
ভোমরা স্থলবন্দরের দায়িত্বরত কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন রফতানি আয় বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, করোনাকালীনও ভোমরা স্থলবন্দরে রফতানি আয় বেড়েছে। শুধু তা-ই নয় গত অর্থবছরের তুলনায় রাজস্ব আয়ও বেড়েছে।