দামুড়হুদায় সড়ক ও জনপথ ভেঙে দিল কমিউনিটি ল্যাট্রিন

0

রিফাত রহমান,চুয়াডাঙ্গা॥ সমন্বয়ের অভাবে সড়ক ও জনপথের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে গুড়িঁয়ে দেয়া হয়েছে ১২ লাখ ৩০ হাজার ৮২৫ টাকা ব্যয়ে দামুড়হুদা বাজারে নির্মিত কমিউনিটি ল্যাট্রিন। ২০১৮-২০১৯ আর্থ বছরে অগ্রাধীকারমূলক গ্রামীণ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় এ কাজের বাস্তবায়ন করে চুয়াডাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এখন প্রশ্ন উঠেছে এ দায়িত্বহীনতার জন্য দায়ী কে ?
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, কাঁচাবাজার ও বাসস্ট্যান্ডের জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের দামুড়হুদা বাজারে সড়ক থেকে ৪০ ফুট দুরত্বে ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর কমিউনিটি ল্যাট্রিনটি নির্মান করা হয়। ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ল্যাট্রিনটি উপজেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তর করার পর পরিস্কার-রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেটা একজনের কাছে ইজারা দেয়া হয়। কিন্তু গত সোমবার (২২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের সময় সড়ক ও জনপথের পক্ষ থেকে ওই কমিউনিটি ল্যাট্রিনটি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। তিনি আরো জানান, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরের পর এ বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য, খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অনেকবার দখলদারদের সড়কের জায়গা ছাড়ার জন্য স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে সেভাবে চিঠি করা হয়নি বা জানানো হয়নি’। তবে তিনি সরকারি অর্থায়নে গড়া কমিউনিটি ল্যাট্রিনটি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।
চুয়াডাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার এরশাদুজ্জামান মৃদুলের জানান, ‘কেন এটা ভেঙ্গে দেয়া হলো আমার বোধগম্য নয়। এখান থেকে তো সাধারণ জনগণ সুবিধা ভোগ করে থাকেন। এতে আমাদের কোন সুবিধা নেই। তিনি আরো জানান,বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যদি তা না হয়, তাহলে প্রধান সড়ক ঘেঁসে যে যাত্রী ছাউনি ও তার সঙ্গে গণশৌচাগার আছে সেটা ভাঙ্গা হয়নি। যা আশ্চর্যের বিষয়। আমাদের বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য কাজটি করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
দামুড়হুদা কাঁচাবাজারে কমিউনিটি ল্যট্রিন ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান বলেন, এটা সড়ক ও জনপথ বিভাগের দাপ্তরিক বিষয়। এটা দায়িত্ব নিয়েই তারা তাদের কাজ করেছেন। সরকারি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্থাপনা কিভাবে তারা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিলো, তাছাড়া ওই স্থানটি গেল দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান নিজে মাপজোক করে সেখানে স্থাপনা নির্মানের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে বুঝিয়ে দেয়। তার পর আনুষ্ঠানিকভাবে সেখানেই নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর। তাহলে কি এটা সমন্বয়ের অভাবের কারনেই ঘটলো। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক স্যার আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। উনার পক্ষ থেকে কোন নির্দেশনা আসলে সে আমি করবো।