নয় মাসে সবচেয়ে কম পাম অয়েল আমদানির রেকর্ড ভারতের

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥গত বছরের তুলনায় চলতি ফেব্রুয়ারিতে ভারতের পাম অয়েল আমদানির পরিমাণ অনেকটা কমেছে। আগের বছরের তুলনায় গত নয় মাসে রেকর্ড পরিমাণ ২৭ শতাংশ আমদানি কমেছে দেশটির। ভারতের স্থানীয় বাজারে এর চাহিদা কিছুটা কমে যাওয়ায় এবং করোনার বাধানিষেধের ফলে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে কিছুটা ঘাটতি থাকায় আমদানির পরিমাণ কমেছে। ভারতের বাণিজ্য সংস্থার আমাদানি-রফতানি শীর্ষ সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। খবর ইকোনমিক টাইমস।
দেশটির সলভেন্ট এক্সট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের (এসইএ) এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সাম্প্রতিক বছরে ভারতের পাম অয়েল আমদানির মোট পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৪৯৫ টন। এর ঠিক এক বছর আগে দেশটির এ ভোজ্যতেল আমদানির মোট পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৪০ হাজার ৪৭০ টন। সে হিসেবে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে এ-জাতীয় তেল আমদানি কমে গেছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৫ টন।
পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে পাম অয়েলের সঙ্গে এক রকম পাল্লা দিয়ে কমেছে সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল আমদানিও। আগের বছরের ৩ লাখ ২২ হাজার ৪৪৮ টনের বিপরীতে গত বছর সয়াবিন তেল আমদানির পরিমাণ ছিল মোট ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯৭৩ টন। সেক্ষেত্রে এর আমদানি কমেছে ৩৬ হাজার ৪৭৫ টন। অন্যদিকে বিদেশী সূর্যমুখী তেল আমদানি ২ লাখ ২৬ হাজার ৭৪৩ টন থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ১১০ টনে। সে হিসেবে এক বছরে ভারতে এ তেল আমদানি কমেছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬৩৩ টন।
মূলত ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে পাম অয়েল কেনে ভারত। অন্যদিকে দেশটির সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল সরবরাহকারী দেশগুলো হলো ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইউক্রেন ও রাশিয়া।
সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক কভিড-১৯ মহামারীর ফলে লকডাউনের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে আসে। পণ্য শিপমেন্টের সমস্যায় তেলের স্টক সীমিত হয়ে পড়ে ভারতে। তবে মার্চ ও এপ্রিলের মধ্যেই দেশের হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোতে এ তেলের চাহিদা বাড়বে বলে মনে করছেন আমদানিকারকরা। নতুন করে আমদানি বাড়িয়ে দেশটিতে তেলের ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা তাদের।