সুন্দরবনে আর অপরাধ না করার অঙ্গীকার

0

মোংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা॥ সুন্দরবনে হরিণ শিকার ও বিষ দিয়ে মাছ ধরাসহ নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ১০ দুর্বৃত্ত নিজ কর্মের ভুল বুঝতে পেরে স্বাভাবিক পেশায় জীবনযাপন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা স্বেচ্ছায় মোংলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনির পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ কার্যালয়ে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তারা তিনশ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে স্বাক্ষর করেন। অঙ্গিকারে তারা বলেন, তারা বনের হরিণ শিকার, নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরার মতো জঘন্য ও ঘৃণিত কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে এবং এ পেশার প্রতি ঘৃণা প্রকশা করে স্বেচ্ছায় এ পেশা থেকে সরে আসছেন। ভবিষ্যতে তারা এ অপকর্ম থেকে বিরত থাকবেন এবং বিকল্প পেশায় জীবিকা নির্বাহ করবেন। এছাড়া তারা উপস্থিত বনবিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সামনে পবিত্র কোরআন ছুঁয়েও শপথ করেন।
এ সময় চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. এনামুল হক, স্টেশন অফিসার মো. ওবায়দুর রহমান ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. ওলিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন। আত্মসমর্পণকারীরা হলেন, চিলা ইউনিয়নের বৈদ্যমারী গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ফরিদ হাওলাদার, শহিদুল জোমাদ্দারের ছেলে সোহাগ জোমাদ্দার, ইউসুফ ব্যাপারীর ছেলে ফরিদ ব্যাপারী, জোহর জোমাদ্দারের ছেলে মনির জোমাদ্দার, মজিদ ফকিরের ছেলে ডিয়ার ফকির, আলকাজ শেখের ছেলে শুকুর শেখ, কাশেম ফকিরের ছেলে এমাদুল ফকির ও মাহবুব ফকির, আলমগীর শেখের ছেলে রাসেল শেখ এবং কাশেম ফকিরের ছেলে কামরুল ফকির। চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, নানা ধরনের বন অপরাধের সাথে জড়িত এমন ১০ জন অপরাধী হরিণ শিকার ও বিষ দিয়ে মাছ ধরাসহ বনের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকবেন বলে স্বেচ্ছায় আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে শপথ ও অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন। তারা এখন থেকে বিকল্প পেশায় নিয়োজিত হবেন। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক বন অপরাধের (হরিণ শিকার, বিষ প্রয়োগ) মামলা রয়েছে। বেশিরভাগের নামে রয়েছে হরিণ শিকারের মামলা। কারো কারো রয়েছে বিষ দিয়ে মাছ ধরার মামলাও। স্বাভাবিক জীবনে ফেরায় তাদের বিকল্প পেশায় সহায়তা করার জন্য বনবিভাগের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও জানান, বনবিভাগের ‘সুরক্ষা’ নামক একটি প্রজেক্ট ইতোমধ্যে পাস হয়েছে। আগামী মাসখানের মধ্যে ওই প্রজেক্টের টাকা ছাড় হবে। ওই প্রজেক্টের আওতায় তাদেরকে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়া হবে।