যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল স্টোরে বালিশ, পায় না রোগী

0

বিএম আসাদ ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পর্যাপ্ত বালিশ থাকলেও রোগীরা প্রয়োজনের সময় বালিশ পাচ্ছেন না। বালিশসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী তাদের বাড়ি থেকে আনতে হচ্ছে। জানা গেছে, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ২শ ৫০টি বেড এবং করোনারি কেয়ার ইউনিটে রয়েছে ২৮টি বেড। সর্বমোট ২শ ৭৮টি বেড নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এ হাসপাতাল। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে না নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে। ফলে, এখানে এসে রোগীরা তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানা গেছে, এ হাসপাতাল, পুরুষ সার্জারি, মহিলা সার্জারি, পুরুষ মেডিসিন, মহিলা মেডিসিন শিশু ওয়ার্ড, অর্থো-সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীদের কোন বালিশ দেয়া হয় না। নেই মশারিও। বেডের পাশে দর্শনার্থীর বসার টুল। কয়েক বছর আগে প্রত্যেক বেডে একটি করে বালিশ, মশারি এবং টুলের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বর্তমানে বেডে কোন বালিশ দেয়া হচ্ছে না। মশার উপদ্রুপ থেকে রক্ষা পেতে সরকারিভাবে মশারি এবং টুল দেয়া হতো। এখন তো দেয়া হচ্ছে না। বেডে রোগী থাকলে একটি করে সাদা চাদর দেয়া হয়। কখনো কখনো অন্য রোগীর ব্যবহৃত চাদর ও দেয়া হয়ে থাকে। কেবলমাত্র পুরুষ পেয়িং বেডে দেয়া হচ্ছে বালিশ ও মশারি। অন্য ওয়ার্ডের রোগীরা এ সুবিধা পাচ্ছেন না। ফলে, নিজ ব্যবস্থাপনায় বাসা/বাড়ি থেকে বালিশ, কাঁথা, এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোগীদের বালিশ ও মশারি ব্যবহার করতে না দিয়ে স্টোরে মজুদ রাখা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে ১২০টি বালিশ অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে মোট ২৭০টি বালিশ কেনা হয়েছিল। যার ক্রয়মূল্য ৭৪ হাজার ২২৩ টাকা। গত আড়াই বছরে ২৭৮টি বেডের জন্যে ব্যবহার করা হয়েছে ১৫০টি বালিশ। ফলে, প্রায় অর্ধেক বেডেই সরকারি বালিশ নেই। সেখানে চিকিৎসাধীন রোগীদের বাসা/বাড়ি থেকে বালিশ কাঁথা এনে শয্যা সাজাতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্টোরের দায়িত্বে থাকা সাইফুল ইসলামের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, বালিশের অভাব নেই। হাসপাতাল স্টোরে সব মজুদ রয়েছে। চাইলেই রোগীদের দেয়া হবে। রোগীকে ব্যবহার করতে না দিয়ে স্টোরে কেন মজুদ রাখা হয়েছে জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম নীরব থাকেন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ মোঃ আরিফ আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রত্যেক বেডে রোগীর জন্যে বালিশ, মশারি আছে। কোন অভাব নেই। তারপরও অনেক সমস্যা আছে। ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সেবিকারা তেমন বালিশ দিতে আগ্রহ দেখায় না। এর পেছনে কারণ আছে উল্লেখ করে আরএমও বলেন, অনেক সময় রোগীরা সরকারি-বালিশ, মশারি চুরি করে নিয়ে যায়। তখন সমস্যা হয়। সেবিকাদের কিনে তা পূরণ করতে হয়। এমন ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে।