আজ পৌরসভা নির্বাচন : নিজের ভোট দেয়া নিয়েও সংশয়ে কেশবপুরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী, কেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোটের আগের রাতেই সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যশোরের কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস। শনিবার রাতে তিনি লোকসমাজকে বলেন, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে। ধানের শীষের কোনো কর্মী বা এজেন্টরা যাতে ভোট কেন্দ্রে না যান সেজন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। ফলে নির্বাচন যে অংশগ্রহণমূলক হবেনা তা অনেকটা স্পষ্ট হয়ে গেছে।


ধানের শীষের প্রার্থী আব্দুস সামাদ বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, কেশবপুর পৌরসভার নির্বাচন অথচ পুরো নির্বাচনী এলাকায় এখন বহিরাগতদের অবাধ পদচারণা। নৌকার প্রার্থীর পক্ষে উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন থেকে লোক তুলে আনা হয়েছে। তারা নৌকার প্রার্থীর হয়ে ধানের শীষের ভোটার ও এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য শাসিয়ে আসছে। প্রশাসনের চোখের সামনে নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়লেও কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সাধারণ ভোটাররা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে নির্বিঘেœ নিজের ভোট দিতে পারবো না কিনা সন্দেহ রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছেনা। বরং প্রশাসন নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে। সামাদ বিশ্বাস বলেন, নৌকার কর্মী-সমর্থকদের বেপরোয়া কর্মকান্ডে আমি ও আমার নেতাকর্মীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। তবে এ বিষয়ে জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, নির্বাচন নিয়ে এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনও পাননি। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটাররা নির্বিঘেœ যাতে কেন্দ্রে আসতে পারেন সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত তৎপরতা রয়েছে। পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে আজ যশোরের কেশবপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ২০ হাজার ৭৭৫ জন। নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের উপজেলা সভাপতি বর্তমান মেয়র রফিকুল ইসলাম নৌকা, বিএনপির পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস ধানের শীষ ও ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল কাদের হাতপাখা। এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে।