আইনজীবী অপহরণে মূল অভিযুক্ত সেই বাগদত্তা অবশেষে আটক

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবু হেনা মোস্তফা কামাল মিলনকে কৌশলে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাবেয়া সুলতানা রিতুকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই যশোর। এই নারী ছিলেন ওই আইনজীবীর বাগদত্তা। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। অপরদিকে আটক রাবেয়া সুলতানা রিতুকে শুক্রবার যশোরে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এসআই ¯েœহাশিস দাস।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিনের নেতৃত্বে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ¯েœহাশিস দাস বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজারে অভিযান চালান। এ সময় সেখান থেকে অপহরণের মূল অভিযুক্ত বাগদত্তা আইনজীবী আবু হেনা মোস্তফা কামাল মিলনের বাগদত্তা রাবেয়া সুলতানা রিতুকে (২২) আটক করা হয়। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলর প্রতাবনগর গ্রামের এস এম হারুনুর রশিদের মেয়ে। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আইনজীবীকে অপহরণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। সূত্র জানায়, শুক্রবার আটক রাবেয়া সুলতানা রিতুকে যশোরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ সময় তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় অভিযুক্ত শাহিন শিকদারকে খুলনার দৌলতপুর মাছবাজার ঘাট থেকে এবং আব্দুস সালাম ও সুরাইয়াকে যশোরে অভয়নগর উপজেলার একতারপুরের একটি বাসা থেকে আটক করেন পিবিআই কর্মকর্তারা। অভিযানে একতারপুরের ওই বাসা থেকে অপহৃত আইনজীবী আবু হেনা মোস্তফা কামাল মিলনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বারুইহাটি গ্রামের এম এ হাকিমের ছেলে। উল্লেখ্য, আইনজীবী আবু হেনা মোস্তফা কামাল মিলনের সাথে আটক রাবেয়া সুলতানা রিতুর পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয়েছিলো। এ কারণে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ওই আইনজীবী খুলনায় তার বাগদত্তার সাথে দেখা করতে গিয়ে অপহৃত হয়েছিলেন। বাগদত্তা রাবেয়া সুলতানা রিতুসহ একটি প্রতারক চক্র কৌশলে তাকে অপহরণ করে যশোরের অভয়নগরের একতারপুরের একটি বাসায় আটকে রেখে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলো। পরে পিবিআই সেখান থেকে আইনজীবীকে উদ্ধার করে।