মিয়ানমারে পুলিশের বাধার মুখেও বিক্ষোভ অব্যাহত

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ মিয়ানমারে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ চলছেই। রাজধানী নেপিদোতে বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করতে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়েছে। কিন্তু বিক্ষোভ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। এর আগে বিক্ষোভকারীদের ওপর জল কামান ব্যবহার করা হয়েছে। দেশটিতে গত নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে রাজপথে বিক্ষোভ করছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
গত সপ্তাহে দেশটির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী।
চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু সামরিক সরকার বড় ধরনের সমাবেশ এবং জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বেশ কিছু শহরে রাত্রীকালীন কারফিউ জারি রয়েছে। সোমবার এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লেইং সতর্ক করেছেন যে, কেউই আইনের ঊর্ধে নয়। যদিও তিনি বিক্ষোভকারীদের সরাসরি কোনো হুমকি দেননি। তবে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, দু’বার সতর্ক করার পর তারা বিক্ষোভকারীদের ওপর রাবার বুলেট ছুড়েছে। শিক্ষক, আইনজীবী, ব্যাংকার, সরকারি কর্মচারীসহ দেশজুড়ে সব পেশার মানুষই রাজপথে নেমে এসেছেন। বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
Police started crackdown using water canon against hundreds of anti-coup protesters in Bago, a city in lower Myanmar. #WhatsHappeningInMyanmar #SaveMyammar #BurmaCoup #Burma pic.twitter.com/SrGy3ZMMkI
— Wa Lone (@walone4) February 9, 2021
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ সব ধরনের সামাজিক মাধ্যম ব্লক করার পর ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সুচির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। তারপর থেকেই মূলত দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু। প্রথম থেকেই সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ করে আসছে। নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনেই গত সপ্তাহে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে দেশজুড়ে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।