দুদক যেন নখদন্তহীন বাঘ না হয়: হাইকোর্ট

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সুইস ব্যাংকসহ বিশ্বের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধভাবে পাচারকৃত অর্থ অবিলম্বে ফেরত আনতে যথাযথ পদেেপর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এর ওপর শুনানি শুরু হয়। আদালত শুনানি মুলতবি করে মঙ্গলবার ফের শুনানির দিন ধার্য করে। একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যেন নখদন্তহীন বাঘ না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করে হাইকোর্ট। আদালতে আবেদনের পে ছিলেন আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস ও আব্দুল কাইয়ুম খান। দুদকের পে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে এ রিট আবেদনটি করেন অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস ও আব্দুল কাইয়ুম খান। এতে অর্থ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, বাণিজ্যসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়।
আবেদনের বরাতে আইনজীবীরা জানান, সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশের ব্যাংকে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এ মর্মে রুলের আরজি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের এর আগে এবং বর্তমানে এই ধরনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন পর্যবেণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়াসহ পাচারের বিষয়ে তথ্য থাকলে তা প্রকাশ সাপেে পদপে নিতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনার আরজি জানানো হয়েছে আবেদনে। রোববার শুনানিকালে রিটের প্রাসঙ্গিক বিষয় এবং এ ব্যাপারে দুদকের উদ্যোগের বিষয়ে সংস্থাটির আইনজীবীর কাছে জানতে চায় হাইকোর্ট। জবাবে দুদক আইনজীবী জানান, বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরত আনার বিষয়ে তাদের তৎপরতা রয়েছে। একপর্যায়ে হাইকোর্ট বলে, ‘দুদককে নখদন্তহীন বাঘ হলে চলবে না তাদের আরো তৎপর হতে হবে।’ রাষ্ট্রপরে আইনজীবী আমিন উদ্দিন মানিক জানান, মঙ্গলবার দুদকের আইনজীবী শুনানি করবেন। এরপর অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য শুনবেন হাইকোর্ট।